Sunday, April 18, 2021

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কুষ্টিয়া সুগার মিল

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কুষ্টিয়া সুগার মিল

 


কুষ্টিয়া শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে জগতি এলাকায় ১৯৬১ সালে শিল্প প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম থেকে কারখানায় চিনি উৎপাদন শুরু হয়। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার চিনিকলটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে। বড় অঙ্কের লোকসান আর দেনার দায় নিয়ে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ৬০ বছরের পুরোনো কুষ্টিয়া সুগার মিল।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির জায়গায় সরকার অন্য কিছু করার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাকিবুর রহমান খান। তিনি বলেন, এই মিল গুটিয়ে আনা হচ্ছে। সরকার এটিকে আর চিনিকল হিসেবে চালাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। তবে এই মিল এরিয়াসহ মোট ২১৬ একর জায়গায় অন্য কিছু করার চিন্তা করা হচ্ছে। এখানে যাতে ১০ হাজার মানুষ কাজ করতে পারে, সে ধরনের কারখানা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে চিনিকলের জায়গায় কী করা হবে, তা ঠিক করা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে ভালো বিনিয়োগকারী খোঁজা হচ্ছে।

মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) খোরশেদ আলম জানান, আখ মাড়াই বন্ধ থাকা চিনিকলটি ৫৪৫ কোটি টাকা লোকসানে আছে বলে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৯-২০ মৌসুমেও ৬১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। চলতি মৌসুম (২০২০-২১) শেষে লোকসানের অঙ্কে কমপক্ষে আরও ৬০ কোটি টাকা যোগ হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা, মজুরি এবং চাষিদের পাওনা ও বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের বকেয়াসহ দেনার দায় জমেছে ২৪ কোটি টাকার। বর্তমানে কর্মকর্তাদের চার মাসের আর শ্রমিক-কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন-ভাতা মিলিয়ে তিন কোটি ১৬ লাখ টাকা বকেয়া আছে। এ ছাড়া চাষিদের দেড় কোটি, মালামাল ক্রয়ের চার কোটি ৪০ লাখ ও অবসরপ্রাপ্তদের বকেয়া আছে সাড়ে ৮ কোটি টাকা। শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়ার কিছু অংশ পরিশোধ করা হয়েছে।

গত বছরের ২ ডিসেম্বর সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে কুষ্টিয়া চিনিকলসহ ছয়টি মিলের আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। এর আগে থেকেই আন্দোলনে ছিলেন এখানকার শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষিরা। সরকার ২০২০-২১ মৌসুমের আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ করে এখানকার আখ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ ও ফরিদপুর চিনিকলে পাঠানোর নির্দেশনা দেয়।

কুষ্টিয়া চিনিকলে গিয়ে দেখা যায় সুনসান নীরবতা। গেটের নিরাপত্তাপ্রহরী ও রেজিস্টারে নাম লিপিবদ্ধকারী কর্মচারীকে অলস সময় কাটাতে দেখা যায়। গেটের বাইরে বা ভেতরে মানুষের আনাগোনা ছিল না। মিলে কাজ নাই মজুরি নাই (কানামনা) ভিত্তিতে কাজ করতেন ১৩৫ জন শ্রমিক। তারাই মূলত কর্মসংকটে পড়েছেন। আন্দোলনেও আছেন তারা। এসব শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানান চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান। মিলের এখন স্থায়ী কর্মী ৩৯৬ জন। এর মধ্যে ২৩ জন কর্মকর্তা। বাকিরা কর্মচারী ও শ্রমিক। মিলটি চালু ও পাওনা টাকার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন আখচাষি ও শ্রমিকরা। তারা কুষ্টিয়া সুগার মিলের ফটকে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ করেন। মিল বন্ধের প্রতিবাদে ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ করতেও দেখা গেছে। শ্রমিক-চাষি সমাবেশ, মানববন্ধনও করেছেন, দিয়েছেন স্মারকলিপিও।

চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান বলেন, চিনিকলে জমে থাকা অনেক চিনিই গত কয়েক মাসে বিক্রি হয়েছে। গত ডিসেম্বরে চিনিকলে মাড়াই বন্ধের সময় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টন চিনি ছিল অবিক্রীত। এখন সেখানে রয়েছে ৭৩৭.৫৫ মেট্রিক টন চিনি। এর অর্থমূল্য প্রায় ৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। কলে চিটাগুড় রয়েছে দুই হাজার ২০০ মেট্রিক টন, যার দাম প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এগুলো ডিসেম্বরের পর থেকে আর বিক্রি হয়নি।

কাজে যোগ দিলেন ব্যাংক খাতের প্রথম নারী সিইও

কাজে যোগ দিলেন ব্যাংক খাতের প্রথম নারী সিইও

 


পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছেন হুমায়রা আজম। দেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম কোনো তফসিলি ব্যাংকের নারী সিইও ও এমডি।

হুমায়রা আজম গত ১৩ এপ্রিল ট্রাস্ট ব্যাংকের সিইও ও এমডির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে জানানো হয়েছে।

সিইও হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে হুমায়রা আজম ট্রাস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ছিলেন। পাশাপাশি ব্যাংকটির এমডি ও সিইও হিসেবে চলতি দায়িত্ব পালন করছিলেন। ট্রাস্ট ব্যাংকে যোগদানের আগে হুমায়রা ব্যাংক এশিয়ার চিফ রিস্ক অফিসার (সিআরও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

হুমায়রা আজম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯০ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি চাকরি করেছেন এইচএসবিসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও আইপিডিসিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।

কমিটি করে দাম নির্ধারণ করতে চায় কমিশন

কমিটি করে দাম নির্ধারণ করতে চায় কমিশন


 

প্রতিমাসে একবার করে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য পরিবর্তনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিইআরসি-ঘোষিত আদেশকে আইন বহির্ভূত বলে উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। গত ১৫ এপ্রিল ক্যাবের আইনজীবীর পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের কাছে পাঠানো চিঠিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ না হওয়ার কথা জানিয়েছে ক্যাব। এতে করে এলপিজির মূল্য হার পরিবর্তনে বিইআরসি যে কমিটি গঠন করছে সেখানে প্রতিনিধি মনোনয়নও দিচ্ছে না ক্যাব। ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকার করে বলেছেন, ‘আমরা মনে করি প্রতি মাসে এলপিজির দাম  নির্ধারণের এখতিয়ার কমিশনের নেই। এতে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ হবে না। আইন অনুযায়ী গুণশুনানি করে সাধারণের মতামতের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করার কথা। তা না করে কমিশন কমিটি করে দাম নির্ধারণ করতে চায়। যা বিইআরসির আইন অনুযায়ী সঠিক নয়।’

ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবীর ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বিইআরসি আইনের ৩৪(৫) ধারা মতে, কোনো জ্বালানির মূল্যহার বছরে প্রয়োজনে একাধিকবার পরিবর্তন করা হতে পারে। কিন্তু প্রতি মাসে অর্থাৎ বছরে ১২ বার নিয়ম করে পরিবর্তন করতে পারে না।

এর আগে বছরে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির দর একবার মাত্র বাড়াতে পারতো বিইআরসি। তবে জ্বালানির স্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পেলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সুযোগ ছিল। যদিও জ্বালানির অস্বাভাবিক দাম বাড়ানোর মতো পরিস্থিতি অতীতে হয়নি। সম্প্রতি সংসদে বিইআরসি আইনের ৩৪(৫) ধারা সংশোধন করে দাম একাধিকবার বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।

গত ১২ এপ্রিল বিইআরসি দেশে এলপিজির দর নির্ধারণ করে। এই আদেশের সঙ্গে সংস্থাটি এও বলে, এখন থেকে প্রতিমাসেই তারা এলপিজির দর নির্ধারণ করে দেবে।

ক্যাব দাবি করেছে মূল্যহার ন্যায্য ও যৌক্তিক হতে হলে এটি নির্ধারণের পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা থাকতে হবে। প্রবিধান মতে গণশুনানি হতে হবে এবং গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

সৌদি আরবের সিপির ভিত্তিতে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজি ও অটোগ্যাসের মূল্যহার সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে বর্ণিত কমিটিতে ক্যাব-এর একজন উপযুক্ত প্রতিনিধির মনোয়ন অবহিত করার অনুরোধ জানিয়েছে বিইআরসি। কিন্তু ক্যাব প্রতিনিধি দিচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

হুমকির মুখে রপ্তানি খাত

হুমকির মুখে রপ্তানি খাত

 


করোনা মহামারীর কারণে আবারো হুমকির মুখে পড়েছে দেশের রপ্তানি খাত। গত বছর দেশে করোনার আঘাত হানার পর ধস নামে রপ্তানিতে। তৈরি পোশাক খাতসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে সামগ্রিক অর্থনীতিতে। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানুষের কর্মসংস্থানসহ অর্থনীতির নানা অনুষঙ্গ। গত বছর (২০২০) মার্চে ২৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ, যা আগের বছরের (২০১৯ সাল) একই মাসের তুলনায় ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ কম। এরপর বছরের শেষ দিকে এসে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় রপ্তানি খাত। কিন্তু ফেব্রুয়ারি-মার্চে ইউরোপজুড়ে থেমে থেমে লকডাউনের কারণে খাবি খায় দেশের রপ্তানি খাত। কিন্তু এবার দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের কারণে আবারো এই খাতে ধসের শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি’র হালনাগাদ তথ্য বলছে, জুলাই-মার্চ এই নয় মাসে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩০ হাজার ২৭৯ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু রপ্তানি হয়েছে  ২৮ হাজার ৯৩৮ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার। গত (২০১৯-২০) অর্থবছরে একই সময়ের রপ্তানি হয় ২৮ হাজার ৯৭৩ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় রপ্তানি কমেছে ৩৫ মিলিয়ন ডলার। এই নয় মাসে দেশের তৈরি পোশাক খাতে (নিটওয়্যার ও ওভেন) ২৪ হাজার ৯৫০ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি হয় ২৩ হাজার ৪৮৭ দশমিক ৯১ মিলিয়ন ডলার (লক্ষ্যমাত্রার দেড় প্রায় দেড় হাজার মিলিয়ন ডলার কম) রপ্তানি হয়েছে। অথচ গত অর্থবছরে (২০১৯-২০২০) একই সময়ে রপ্তানি হয় ২৪ হাজার ১০৩ দশমিক ৭২ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় সাতশ মিলিয়ন ডলারের কম রপ্তানি আদেশ পায় পোশাক খাত। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে টেক্সটাইল খাত। গত নয় মাসে ৭০৮ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৪৬ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি আদেশ পায় এই সেক্টর, যা ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় আড়াইশ মিলিয়ন ডলার বেশি (৫৯৮.১৯ মিলিয়ন ডলার)

এ ছাড়া কৃষিপণ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হলেও গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে। ২০২০-২০২১ (জুলাই-মার্চ) অর্থবছরে ৭৯০ দশমিক ৭২ মিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি হয় ৭৪৬.৭২ মিলিয়ন ডলার, যা ২০১৯-২০২০ (জুলাই-মার্চ)  অর্থবছরে ছিল
উপকূলীয় অঞ্চলে সয়াবিনের আবাদ কমছে

উপকূলীয় অঞ্চলে সয়াবিনের আবাদ কমছে

 


বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা সয়াবিনসমৃদ্ধ জেলা। লক্ষ্মীপুর জেলার প্রায় সব উপজেলায়, বিশেষ করে রামগতি, কমলনগর, লক্ষ্মীপুর সদরের দক্ষিণাংশ এবং রায়পুর উপজেলার চরবংশী, চরআবাবিল ও চরকাছিয়া মিলিয়ে গত রবি মৌসুমে প্রায় ৫৪,৪৫৫ হেক্টর, নোয়াখালী জেলায় ১৬,২৮২ হেক্টর এবং দেশের অন্যান্য স্থানে ১,৭৮০ হেক্টরসহ সর্বমোট ৭২,৫১৭ হেক্টর জমিতে সয়াবিনের আবাদ হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চল, বিশেষ করে ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা এবং খুলনায় সয়াবিনের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাট, রংপুর, পাবনা, ঈশ্বরদী ও শাহজাদপুরে রবি-খরিপ মৌসুমে (গ্রীষ্মকালে) সয়াবিন আবাদ বিগত ৪-৫ বছর আগে শুরু হয়েছে। বিগত কয়েক বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার শস্য পরিক্রমায় রবি ফসল হিসেবে সয়াবিন একক ও অনন্য সাধারণ ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সয়াবিন চাষিদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সয়াবিন চাষে ঝুঁকি ও খরচ বাদামের তুলনায় অনেক কম, লাভ অনেক বেশি। সয়াবিন উত্তোলনের পর ঐ জমিতে আউশ/আমন ধানের ফলন খুব ভালো হয়। কারণ সয়াবিন একটি উত্তম বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেন আবদ্ধকারী লিগুম ফসল হিসেবে মাটিতে নাইট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি আবাদ মৌসুমে সয়াবিন মাটিতে হেক্টর প্রতি ২৫০-২৭৭ কেজি নাইট্রোজেন সংযোজন করতে পারে, যা ফসলের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেনের শতকরা প্রায় ৮০-৮৫ ভাগ। এ ছাড়া সয়াবিনের পাতাসহ অন্যান্য দৈহিক অংশ এবং শিকড় অল্প সময়ের মধ্যে পচে-গলে মাটিতে জৈব পদার্থ যোগ করে। এর ফলে মাটির স্বাস্থ্য ও পরিবেশ অনেক উন্নত হয়। মাটিতে ক্ষুদ্র অণুজীবের কার্যাবলি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। মাটি হয় পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এভাবে মাটি পরবর্তী ফসলে পুষ্টি উপাদান সরবরাহ নিশ্চিত করে। পোলট্রি শিল্প বিকশিত হওয়ার কারণে সয়াবিনের দেশীয় চাহিদা প্রতি বছর প্রায় ২৭-২৯ লক্ষ টন অথচ সয়াবিন সমৃদ্ধ বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে মাত্র ১-১.৫ লক্ষ টন, তার চেয়ে কম বা বেশি সয়াবিন উৎপাদিত হয়। সকল তৈলবীজ ফসলের মধ্যে সয়াবিন অত্যন্ত সংবেদনশীল তৈলবীজ। সয়াবিনে ৪০-৪৫ ভাগ প্রোটিন বিদ্যমান যা অন্যান্য তৈলবীজ ফসলে মাত্র ২০-২২ ভাগ। এই উচ্চ মাত্রার প্রোটিন থাকার কারণে যখনই সয়াবিন বীজ উন্মুক্ত পরিবেশে আনা হয় তখনই ঐুমৎড়ংপড়ঢ়রপ ঘধঃঁৎব বাতাস থেকে আর্দ্রতা গ্রহণ করে। ঐ অবস্থায় মাটির আর্দ্রতা বেশি থাকলে সয়াবিন বীজ কম অঙ্কুরিত হয়। জলবায়ু সংকটে সয়াবিন চাষ অনেকটা হুমকির মুখে। পূর্বেই বলা হয়েছে, সয়াবিন অত্যন্ত সংবেদনশীল বীজ। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা এ দুটি উপাদান সয়াবিন বীজের অঙ্কুরোদ্গমের নিয়ামক শক্তি। কাজেই চাষিদের সয়াবিন বীজ রোপণের ক্ষেত্রে এ দুটি উপাদানের বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্তে প্রমাণিত, মাটির তাপমাত্রা ৯০ সেলসিয়াস-এর নিচে থাকলে সয়াবিন বীজ যতই সজীব থাকুক না তা কম অঙ্কুরিত হয় (সগবি, বিএআরআই, নোয়াখালী)।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সয়াবিনের আবাদ এলাকা বিগত ২০১৩ সাল শুরু করে (২০১৬ সাল ব্যতীত) প্রতি বছর কোনো না কোনোভাবেই ব্যাহত হচ্ছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তিন বার ফ্লাশ ফ্লাডের বা হঠাৎ জ্বলোচ্ছ্বাসের কারণে বৃহত্তর উপকূলীয় অঞ্চলে খরিপ মৌসুমে আবাদকৃত সয়াবিনের প্রায় ৬০ % আবাদ এলাকা জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়। এতে সয়াবিন চাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খরিপ মৌসুমে আবাদকৃত বীজ রবি মৌসুমে বীজ হিসেবে ব্যবহূত হয়। ফলে বাজারে বীজ সংকট দেখা দেয়। এক কেজি সয়াবিন বীজের বাজার মূল্য ১৫০-২৮০ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করে। সয়াবিন চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। বিএডিসির বীজের সরবরাহ বাজারে মোটামুটি সন্তোষজনক থাকলেও কৃষক খরিপের বীজ ব্যবহারে আগ্রহী। কারণ খরিপ মৌসুমে আবাদকৃত বীজের অঙ্কুরোদ্গম ক্ষমতা প্রায় শতভাগ যা রবি মৌসুমে বীজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে সরকার কর্তৃক ধানের মূল্য বৃদ্ধি করার কারণে কৃষক ধান চাষের প্রতি ঝুঁকছে। ফলে ২০২০-২০২১ রবি মৌসুমে সয়াবিনের প্রায় ২৫-৩০ ভাগ আবাদ এলাকা বোরো আবাদে পরিণত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের বাজার মূল্য বৃদ্ধি পেলেও আমাদের দেশে ফড়িয়াসহ আড়তদারদের সিন্ডিকেট ব্যবস্থার কারণে কৃষক সয়াবিনের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে অন্য অর্থকরী ফসল তরমুজ আবাদে ঝুঁকছে। এখানেও দেখা যায়, সয়াবিনের আবাদ জমির প্রায় ২০-২৫ ভাগ তরমুজ চাষে পরিবর্তিত হয়েছে। অন্যদিকে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা-এর মতো সয়াল্যান্ড খ্যাত লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলার প্রায় ১২,০০০ হাজার হেক্টর সয়াবিন আবাদ এলাকা মেঘনা নদী ভাঙনের ফলে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এভাবে সয়াবিন আবাদ এলাকা ক্রমেই কমে যাচ্ছে বলে কৃষিবিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণবিদরা মতামত পেশ করেছেন। এর থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের কৃষি বিভাগগুলোর আরো তৎপর হওয়া একান্ত প্রয়োজন। সাথে সাথে উচ্চফলনশীল জাতের চাষাবাদ বাড়ানো, জীবাণু সার ব্যবহার, সয়াবিন চাষে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য বৃহত্তর নোয়াখালী জেলাকে সয়াবিন আবাদে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তিকরণ, সয়াবিন আবাদ মৌসুমে ২-৪% সুদে কৃষি লোনের ব্যবস্থাকরণ এবং সয়াবিনের মূল্য বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি। সর্বোপরি সয়াবিন আবাদে দুর্যোগকালীন সময়ে সয়াবিন চাষিদের সরকারিভাবে ভর্তুকি তহবিল হতে ভর্তুকি প্রদানের ব্যবস্থা করা।

লেখক :ড. মুহাম্মদ মহীউদ্দীন চৌধুরী

প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সগবি, বিএআরআই, নোয়াখালী

মোবাইল-০১৮২৭৮৬৫৮৬০

‘কোয়ারেনটাইন’ শব্দের উদ্ভব ইবনে সিনার আইসোলেশন পদ্ধতি

‘কোয়ারেনটাইন’ শব্দের উদ্ভব ইবনে সিনার আইসোলেশন পদ্ধতি


 

ইরানে জন্মগ্রহণকারী ইবনে সিনা ছিলেন মুসলিম দুনিয়া তথা বিশ্বের একজন অগ্রণী বিজ্ঞানী, গবেষক ও দার্শনিক। তার পুরো নাম আবু আলি আল হুসেইন ইন আবদুল্লাহ ইবন-সিনা। অবশ্য পাশ্চাত্যে তিনি পরিচিত আভিসিনাহ নামে। তার ছিল বিভিন্ন বিষয়ে বিরল প্রতিভা। এককথায় পলিম্যাথ বা বহুবিদ্যাধর।

ইবনে সিনা ছিলেন একাধারে চিকিৎসাবিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, দার্শনিক। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি ৪৫০টি গবেষণাগ্রন্থ লিখেছিলেন। তার মধ্যে এখনও ২৪০টি গ্রহ পাওয়া যায়।

ইবনে সিনাকে দুনিয়ার আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনকও বলা হয়। তার সময়কাল ছিল ৯৮০-১০৩৭ খ্রিস্টাব্দ। যাঁদের প্রতিভার আলোকে বিজ্ঞান ও গবেষণায় ইসলামি সোনালি যুগ উদ্ভাসিত হয়েছিল, তার মধ্যে ইবনে সিনা ছিলেন অগ্রগণ্য। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তার লেখা ৪০টি কিতাব রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে খ্যাত হল ‘দ্য বুক অফ হিলিং’ (আরোগ্য পুস্তক) ও ‘দ্য ক্যানন অফ মেডিসিন’ (চিকিৎসাশাস্ত্র)।

ইবনে সিনা ধারণা করেছিলেন, কিছু রোগ নিশ্চিতভাবে মাইক্রোঅর্গানিজম দ্বারাই ছড়ায়। তাই মানুষ থেকে মানুষে রোগ সংক্রমণ প্রতিহত করতে তিনি যে ব্যবস্থা পত্রের কথা বলেছিলেন তা হচ্ছে, সংক্রমিত বা সন্দেহযুক্ত ব্যক্তিকে ৪০ দিন ধরে একেবারে আলাদা করে আইসোলেশনে অর্থাৎ, নির্জনে রাখতে হবে। আর এর দ্বারাই সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। ইবনে সিনার এই ব্যবস্থাপত্রকে আরবিতে বলা হয়, ‘আল আরবাইনিয়া’ (অর্থাৎ ৪০ দিন)।

মাল্টা' কোয়ারেন্টাইনে থাকা শহরের চিত্র  © J. Goupy/Wellcome collection

১৩৪৭ সালের অক্টোবর মাস। কৃষ্ণসাগর থেকে ১২ টি জাহাজ সিসিলির মেসিনা বন্দরে নোঙ্গর করল। বন্দরের লোকজন জাহাজিদের অভ্যর্থনা দিতে এসে সাংঘাতিক ভাবে চমকে গেলেন। সবগুলো জাহাজের বেশিরভাগ লোকজন মরে পড়ে আছে! যারা মারা যায়নি তাদের অবস্থাও গুরুতর। পুরো শরীর থেকে রক্ত ও পুঁজ গড়িয়ে পড়ছে। জানতে পেরে সিসিলি কর্তৃপক্ষ তাড়াতাড়ি জাহাজের এই বহরকে বন্দর ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। ইউরোপে ঢুকে গেল বুবোনিক প্লেগ! ‘ব্ল্যাক ডেথ’ নামে পরিচিত এই মহামারিকে মানবজাতির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে ধরা হয়। ১৩৪৭-১৩৫০ পর্যন্ত চলা এই ধ্বংসযজ্ঞে পুরো ইউরোপের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মারা গিয়েছিল।

সিসিলির এই ঘটনায় শিক্ষা নিল ভেনিস শহর। যদিও কিভাবে রোগ ছড়ায় সেই জ্ঞানের অভাব ছিল তাদের। তৎকালীন ভেনিস নিয়ন্ত্রিত নগরী রাগুসা (বর্তমানে ক্রোয়েশিয়ায়) ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দর।

কোনোভাবে প্লেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ১৩৭৭ সালে শহরের গ্রেট কাউন্সিল একটি আইন জারি করেন। আইনটিকে বলা হয়েছিল, ত্রেনটিনো (trentino) বা ৩০ দিনের আইসোলেশন পিরিয়ড।

এই আইনটিতে ৪ টি আদেশ দেয়া হয় -

১. প্লেগ আক্রান্ত এলাকা থেকে আসা কোনো জাহাজ রাগুসা বন্দরে ভিড়তে পারবে না। এর আগে থাকতে হবে ১ মাসের আইসোলেশনে।
২. রাগুসা শহর থেকে কেউ জাহাজের ভেতরে যেতে পারবেনা। এরপরেও কেউ গেলে তাকেও শাস্তি স্বরূপ ১ মাস জাহাজে থাকতে হবে।
৩. কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কেউ জাহাজে খাবার নিয়ে যেতে পারবেনা। গেলে আগের মতোই শাস্তি।
৪. উপরোক্ত আইন কেউ না মানলে তাকেও ১ মাসের আইসোলেশনে থাকতে হবে এবং জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।

মা ও শিশু জেটিতে দাঁড়িয়ে দেখছেন কোয়ারেন্টিনে থাকা জাহাজ  © Francesco Gioli 1897/ Getty Images

বন্দরে ভিড়তে না দেয়ার এই আইনটি টিকে যায়। পরবর্তী ৮০ বছরের মধ্যে ইতালির অন্যান্য কয়েকটি শহর যেমন- ভেনিস, পিসা, জেনোয়া প্রভৃতিতেও trentino প্রয়োগ করা হতে থাকে। জীবাণুবাহিত রোগ সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলেও প্লেগের ভয়াবহতা শহরগুলোকে কঠিন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে।

তবে এই সময়ের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়। ভেনিসের ব্যবসায়ীরা রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে ইবনে সিনার উদ্ভাবিত সংক্রমিত ব্যক্তিকে ৪০ দিন ধরে আইসোলেশনে রাখার সফল পদ্ধতির কথা শুনেছিলেন। তারা অর্জিত এই জ্ঞানকে বর্তমানের ইতালি ভূখণ্ডে নিয়ে যান। তারা আরবি থেকে অনুবাদ করে ইতালিতে এই পদ্ধতিটির নামকরণ করেন ‘কোয়ারানটেনা’ (quarantena বা quarantino) (ইতালি ভাষায় ৪০ দিন)।

ইবনে সিনার ধারণা অনুযায়ী পরে ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে আইসোলেশন পিরিয়ডের মেয়াদ করা হয় ৪০ দিন। এর সাথে আইনটির নাম trentino থেকে পরিবর্তন করে quarantino বা quarantena (কোয়ারানটেনা) রাখা হয়। এ শব্দটি আসে ইটালিয়ান quaranta থেকে, যার অর্থ চল্লিশ। তবে পরে এর প্রচলিত অর্থ হয়- সঙ্গরোধ বা ব্যক্তিকে পৃথক করা। আর এ থেকেই ইংরেজি ‘কোয়ারেন্টাইন’ (quarantine) শব্দটির উদ্ভব।

আধুনিক পৃথিবীতে এই যে প্রণালীটি বৈশ্বিক – মহামারী রুখতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার শিকড় রয়েছে ইসলামি দুনিয়ায়।

সূত্র : টিডিএন বাংলা, রোয়ার।

বঙ্গবন্ধু গেমসে ইবির ৩ শিক্ষার্থীর পদক জয়

বঙ্গবন্ধু গেমসে ইবির ৩ শিক্ষার্থীর পদক জয়

 


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমস প্রতিযোগিতা’-২০২০ এ কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই শিক্ষার্থী স্বর্ণপদক ও এক শিক্ষার্থী ব্রোঞ্জপদক জয় করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের ডেপুটি পরিচালক আসাদুর রহমান এতথ্য নিশ্চিত করেন।

স্বর্ণপদক জয়ী দুই শিক্ষার্থী হলেন, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ডিসকাস থ্রো ইভেন্টে জাফরিন আক্তার এবং একই বিভাগের ১০০ মিটার হার্ডলস, ১০০ মিটার রিলে ও ৪০০ মিটার রিলে এই তিন ইভেন্টে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের আনিকা রহমান তামান্না। একই বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রিংকি খাতুন লং জাম্প ইভেন্টে ব্রোঞ্জপদক জয় করেন।

শারীরিক শিক্ষা বিভাগ সূত্র জানায়, ২ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত রাজধানীর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাফরিন আক্তার ডিসকাস থ্রো ইভেন্টে প্রথম ও আনিকা রহমান তামান্না মোট তিন ইভেন্টে প্রথমস্থান অধিকার করে তিনটি স্বর্ণপদক জয়লাভ করেন। রিংকি খাতুন লং জাম্প ইভেন্টে তৃতীয় স্থান অধিকার করে ব্রোঞ্জপদক জয় করেন।

শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘এটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের বিষয়। আমাদের খেলোয়াড়রা দেশ-বিদেশে সাফল্য অর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বয়ে আনছে। তাদের এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা রাখি। আমি তাদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।’

হকির নির্বাচনে এত তোলপাড়!

হকির নির্বাচনে এত তোলপাড়!

 


বাংলাদেশের হকি নিয়ে হঠাৎ চারদিকে শুরু হয়েছে তোলপাড়। হকি ফেডারেশন অফিসের আশপাশে তুমুল ভিড়। কর্মকর্তা আর সাবেক খেলোয়াড়দের সঙ্গে রয়েছেন তাদের শুভাকাঙ্ক্ষীরা। আর রয়েছেন উৎসুক জনতা। না, বাংলাদেশের হকি কোনো সাফল্য লাভ করেনি কিংবা আন্তর্জাতিক পদক লাভেরও কোনো সম্ভাবনা নেই। তাহলে ঘটনা কী? হকি ফেডারেশনের আসন্ন নির্বাচন। হকির নির্বাচন নিয়ে আগেও এমন তোড়জোড় লক্ষ করা গেছে। এমন হইচই আর উত্তেজনার ছিটেফোঁটাও যদি খেলাটির মান উন্নয়নে থাকত, তাহলে বাংলাদেশ বিশ্ব হকির সম্মানজনক অবস্থায় জায়গা করে নিতে সক্ষম হতো।

জানা গেছে, সমঝোতার বদলে নির্বাচনের মাধ্যমেই হকির নতুন কমিটি চায় দুই পক্ষ। শেষদিন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক পদের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুস সাদেক ও একেএম মমিনুল হক সাঈদ। ২৮টি পদের বিপরীতে মনোনয়ন জমা পড়েছে ৬৮টি। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ৪ এপ্রিল। আর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৮ এপ্রিল। প্রথমে শোনা গিয়েছিল সমঝোতার ভিত্তিতে হবে হকি ফেডারেশনের এই নির্বাচন। দুই পক্ষ কয়েক দফা সভা করেছে এ নিয়ে।

তবে শেষ দিন দুই পক্ষই আলাদা আলাদাভাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ায় সেই সম্ভাবনা মুছে গেছে। এখন আর সমঝোতার সুযোগ নেই- জানান সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আবদুস সাদেক। অপরদিকে আনুষ্ঠানিক কোনো সমঝোতার প্রস্তাব আসেনি বলে তথ্য দিলেন অন্য প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মমিনুল হক সাঈদ।

অ্যাডহক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাদেক মহানগর হকি ক্লাব সমর্থিত পরিষদের ব্যানারে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ওই প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে আবদুস সাদেক, সহ-সভাপতি পদে সাজেদ এ এ আদেলসহ পাঁচজন ও অন্যান্য পদ মিলিয়ে ২৮ পদের বিপরীতে ৩০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সমঝোতার নির্বাচন না হলেও সবাই মিলে হকির সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়া আবদুস সাদেক। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষ থেকে কাউন্সিলর হওয়া মমিনুল হক সাঈদ। তাকে সমর্থন দিলেও ঊষা ক্রীড়াচক্রের আবদুর রশিদ শিকদার একই সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক ও সহ-সভাপতি পদের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন প্যানেল ঘোষণা করেছেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী আবদুস সাদেক। বিপরীতে মনোনয়ন জমা দিলেও পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ৩ এপ্রিল ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাঈদ। যদিও এখনই বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংগঠক পরিষদ ও মহানগর হকি ক্লাবগুলোর সমর্থনে নিরঙ্কুশ জয়ের আত্মবিশ্বাস সাদেকের কণ্ঠে। তার প্যানেলে সহ-সভাপতির পদে সাজেদ আদেল, মাহফুজুর রহমান ও ইউসুফ আলীর সঙ্গে নতুন মুখ মোস্তবা জামান ও জাকি আহমেদ। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে থাকছেন মাহবুব এহসান রানা ও মোহাম্মদ ইউসুফ। বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের নির্বাচনে সব সময়ই বিতর্ক আর নতুন সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তার প্রধান কারণ, বিশ্ব হকিতে বর্তমানে বাংলাদেশের কোনো অবস্থান নেই বলা চলে। এক সময়ের সম্ভাবনাময় হকিকে ‘গলা টিপে হত্যা’ করা হয়েছে। সরাসরি এর জন্য দায়ী হকির কর্মকর্তারা। যেই বাংলাদেশ তিন দশক আগেও বিশ্বের সেরা দলটির বিরুদ্ধে দারুণ লড়াই করে মাত্র এক গোলে হেরেছিল দুর্ভাগ্যক্রমে, সেই বাংলাদেশকে আজ যদি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের মুখোমুখি করা হয়, তাহলে হয়তো গোল হজমের বিশ্বরেকর্ড করতে পারে লাল-সবুজের দলটি। অথচ হকি ফেডারেশনের নির্বাচন দেখলে মনে হবে- না জানি খেলাটিতে কত উপরে উঠেছে বাংলাদেশ।

বিশ্ব হকির র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৩৪ নম্বরে। যেখানে এশিয়ার দল ভারত রয়েছে পঞ্চম স্থানে। আর পাকিস্তান দ্বাদশ, মালয়েশিয়া ত্রয়োদশ, চীন চতুর্দশ, দক্ষিণ কোরিয়া সপ্তদশ, জাপান অষ্টাদশ স্থানে রয়েছে। ১৯৮৫ সালে ঢাকায় এশিয়া কাপ হকিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়ার্ধের শেষের দিকের একমাত্র গোলে পরাজিত হয়েছিল তৎকালীন বিশ্বকাপ ও অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের বিপক্ষে। দেশজুড়ে হকির জোয়ার সৃষ্টি হয়। কিন্তু কর্মকর্তারা সেই অবস্থা ধরে না রেখে নিজেদের আখের গোছাতে তৎপর ছিলেন বলেই হকিতে বাংলাদেশের এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। আজ অবধি সেই অবস্থাই রয়েছে।

এক সময়ের বিশ্বসেরা দল ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ কোরিয়া এখন বিশ্বকাপ কিংবা অলিম্পিকে টিকে আছে কোনোমতে। সেই সব দলের সঙ্গে বাংলাদেশ ম্যাচে হালি হালি গোল হজম করছে। হকির উন্নতির দিকে কর্মকর্তাদের মোটেও ভ্রূক্ষেপ নেই। তাদের নজর শুধু নির্বাচনে। নির্বাচন অবশ্যই ইতিবাচক। কিন্তু যেখানে হকির এমন বেহাল দশা, সেখানে কি জাঁকজমকপূর্ণ নির্বাচন শোভা পায়- প্রশ্ন সেটাই।

সাবেক অধিনায়কদের অবজ্ঞা বিপিএলে

সাবেক অধিনায়কদের অবজ্ঞা বিপিএলে

 


এটা কীভাবে হলো, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে উৎসর্গ করে আয়োজিত এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)। যার নামই রাখা হয়েছে বঙ্গবন্ধু বিপিএল। এ আসরের মাঠের খেলা শুরুর তিনদিন আগে গতকাল রোববার মিরপুরের শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে হলো জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। সেখানে দাওয়াত করা হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক কোনো অধিনায়ক কিংবা তারকা খেলোয়াড়দের।

বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বসে দেশি-বিদেশি তারকাদের মেলা। দুই পর্বে মঞ্চ মাতান দেশি ও বিদেশি তারকারা। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিপিএলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে-পরে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক বিষয়।

খুব পরিতাপের বিষয় হলো, এ অনুষ্ঠানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দাওয়াত দেওয়া হয়নি দেশের সাবেক কোনো ক্রিকেট তারকাকে। সাবেক অধিনায়করা দাওয়াত না পেলেও, ক্রিকেট বোর্ডের সকল সদস্য ও কাউন্সিলররা ঠিকই আমন্ত্রণপত্র পান। অনেককেই আবার দেওয়া হয়েছে সৌজন্য টিকিট। কিন্তু সাবেক খেলোয়াড় বা অধিনায়কদের জন্য নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। এতে হতাশা প্রকাশ করেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত, কৃতী উইকেটকিপার শফিকুল হক হীরা। আয়োজকদের এমন খামখেয়ালিপূর্ণ আচরণ মেনে নিতে কষ্টই হচ্ছে তার। শফিকুল হক হীরা শুধু ক্রিকেটার হিসেবেই নন, জাতীয় দলের ম্যানেজার হিসেবেও ছিলেন অন্যতম সফল। তিনি বলেন, ‘ এটা দেখে অবাক হলাম যে, বিপিএলের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য অধিনায়কদের দাওয়াত দেয়া হয়নি। অথচ বোর্ড মেম্বার, কাউন্সিলররা ঠিকই আমন্ত্রণ পেয়েছে। এটা খুবই দুঃখের যে সাবেক অধিনায়কদের চেয়ে বোর্ড কাউন্সিলরদের গুরুত্ব বেশি।’ তিনি আরো বলেন, ‘জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং জাতীয় পুরস্কার বিজয়ীর জন্য এটা অপমানজনক। বিসিবি কারো সাথে যোগাযোগই করেনি। দেশের জন্য সুনাম অর্জনের লক্ষ্যে আমরা ক্রিকেট খেলেছিলাম, বোর্ড মেম্বার বা কাউন্সিলররা নয়। অথচ এর বিপরীতে আমরা এমন প্রতিদান পাচ্ছি। ক্রীড়া মন্ত্রণালয় হয়তো এ বিষয়ে কিছু জানেও না। এটা সত্যিই অপমানজনক।’ হিরা সেই খেলোয়াড়দের একজন, যাদের হাত ধরে ক্রিকেটে আজকের বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ এখন নিয়মিত টেস্ট খেলছে, ওয়ানডে খেলছে, টি-টোয়েন্টি খেলছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর হিরা, রকিবুল হাসান, শামীম কবির, দীপু রায় চৌধুরী, জাহাঙ্গীর শাহ বাদশাহ,  দৌলতুজ্জামানরাই প্রথম ক্রিকেট চর্চা শুরু করেন। তাদের অবদান স্বীকার করা বা তাদেরকে শ্রদ্ধা করা ছিল খুবই জরুরী। কিন্তু বর্তমান ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা সেটা করতে পারলেন না।  
৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কলকাতায় সাকিব

৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কলকাতায় সাকিব



আইপিএলে আবারও কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে মাঠে নামবেন সাকিব আল হাসান। নিলামে ৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে সাকিবকে দলে ভেড়ায় শাহরুখ খানের দল কলকাতা নাইট রাইডার্স।

আজ বৃস্পতিবার ভারতের চেন্নাইতে এ নিলাম অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

নিলামে সাকিব আল হাসানের ভিত্তিমূল্য ছিল সর্বোচ্চ ২ কোটি রুপি। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে দলে ভেড়াতে একের পর এক দাম হাঁকাতে থাকে নাইট রাইডার্স ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। অবশেষে ৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে সাকিবকে কিনে নেয় শাহরুখ খানের দল।

 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু নির্ধারণ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ভেন্যু নির্ধারণ


 

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভেন্যু নির্ধারণ করেছে বিসিসিআই। মোট ৯টি ভেন্যুতে হবে টুর্নামেন্টের খেলাগুলো। আর বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে মোতেরার নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে। বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের বৈঠক শেষে আজ শনিবার এসব তথ্য জানানো হয়।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) বিসিসিআইয়ের অ্যাপেক্স কাউন্সিলের ওই বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলেও জানা যায়।

 চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে আয়োজিত হতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সর্বশেষ ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেরও আয়োজক ছিল ভারত। আগেরবারের চেয়ে এবার নতুন ৪টি ভেন্যু যোগ হয়েছে। সেবারের আয়োজনের সাথে এবারের আয়োজনের বেশ পার্থক্য হবে মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে। দর্শকরা সরাসরি মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন কী না, সে সিদ্ধান্ত তখনই নেওয়া হবে।

 

আসন্ন বিশ্বকাপের নতুন ৪টি ভেন্যু হলো আহমেদাবাদ, হায়দরাবাদ, লক্ষ্মৌ ও চেন্নাই। এছাড়া বাকি ৫টি ভেন্যু হলো মুম্বাই, দিল্লি, কলকাতা, বেঙ্গালুরু ও ধর্মশালা। ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে সবচেয়ে বেশি ধারণক্ষমতার নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।

বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, ‘ওই ৯টি ভেন্যু নির্ধারণ করা হয়েছে এবং ভেন্যুগুলোর কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে যেন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারে এইজন্য আলোচনা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অক্টোবর-নভেম্বরে করোনা পরিস্থিতি কেমন হতে পারে তা এখনই অনুমান করতে যাওয়া খুব তাড়াতাড়ি হয়ে যায়। কিন্তু প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে।’

প্রসঙ্গত, ভারতে করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হচ্ছে। দেশটিতে বর্তমানে দিনে দুই লাখেরই বেশি করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। তবুও এরমধ্যেই দেশটিতে চলছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)।

রেকর্ড ৩৬তম মাস্টার্স শিরোপা জকোভিচের

রেকর্ড ৩৬তম মাস্টার্স শিরোপা জকোভিচের

 


রেকর্ড ৩৬তম এটিপি মাস্টার্স ট্রফি জিতেছেন নোভাক জোকোভিচ। ইতালিয়ান ওপেনের ফাইনালে দিয়েগো শয়ার্টসমানকে হারিয়ে শিরোপা জেতেন সার্বিয়ান তারকা।

রোমের ফাইনালে সরাসরি সেটে ম্যাচ জেতেন নোভাক। প্রথম সেটে লড়াইয়ের আভাস দেন দিয়েগো। তবে ৭-৫ গেমে জিতে এগিয়ে যান জোকোভিচ। দ্বিতীয় সেট ৬-৩ গেমে জিতে রেকর্ড নিজের করে নেন ওয়ার্ল্ড নাম্বার ওয়ান।

গত মাসে ওয়েস্টার্ন অ্যান্ড সাউদার্ন ওপেনের শিরোপা জিতে ৩৫টা এটিপি মাস্টার্স জেতা নাদালকে স্পর্শ করেছিলেন নোভাক। ২৮টি এটিপি মাস্টার্স জিতে তালিকায় তিন নম্বরে আছেন রজার ফেদেরার। সব মিলে এটি জোকোভিচের ক্যারিয়ারের ৮১তম এবং এই বছরে চতুর্থ শিরোপা।

ফুটবলসোশ্যাল মিডিয়া বয়কট!

ফুটবলসোশ্যাল মিডিয়া বয়কট!

 


সম্প্রতি ইংল্যান্ড অলরাউন্ডার মঈন আলিকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করে তীব্র সমালোচনার মুখে লেখিকা তসলিমা নাসরিন। মুসলিম এই ক্রিকেটার ক্রিকেটে না থাকলে জঙ্গিগোষ্ঠীতে যোগ দিতেন বলে মন্তব্য করেছিলেন বাংলাদেশের নির্বাসিত এই লেখিকা। এর পর থেকে ভীষণ সমালোচনা সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার প্রতিবাদে মুখর ইংলিশ পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডও। তিনি সরাসরি বলেই দিয়েছেন, অনলাইনে এসব আক্রমণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া উচিত। প্রয়োজনে সোশ্যাল মিডিয়া বয়কটের কথাও বলেছেন ইংলিশ এই ক্রিকেটার।

ঘটনার সূত্রপাত একটি ভুয়া খবরকে ঘিরে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের একাংশের খবরে দাবি করা হয়, মঈন আলি তার জার্সি থেকে একটি অ্যালকোহল সংস্থার লোগো তুলে নিতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস কর্তৃপক্ষকে। যেহেতু ইসলামিক ধর্মে অ্যালকোহলের প্রচার বারণ, সে কারণেই তিনি এই দাবি জানিয়েছিলেন। তার ভাবাবেগকে সম্মান জানাতে চেন্নাই কর্তৃপক্ষ মঈন আলির জার্সি থেকে নির্দিষ্ট ওই সংস্থার লোগো তুলেও নেয়। তবে চেন্নাই সুপার কিংস কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে কিছু সংবাদমাধ্যম আবার জানিয়েছে, এ ধরনের কোনো অনুরোধ করেননি মঈন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তসলিমা টুইট করে বসেন এভাবে, ‘মঈন আলি যদি ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত না থাকতেন, তবে সিরিয়ায় গিয়ে আইএসে যোগ দিতেন।’