JanakalyanNews.com: বাংলাদেশ

সংবাদ শিরোনাম
লোডিং...
Menu
Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts
Showing posts with label বাংলাদেশ. Show all posts

Saturday, October 23, 2021

রাস্তায় আইনভঙ্গে শীর্ষে বাইকাররা

রাস্তায় আইনভঙ্গে শীর্ষে বাইকাররা




রাজধানীতে ট্রাফিক আইন অমান্যে শীর্ষে বাইকাররা। এমনটা বলছেন ট্রাফিক সার্জেন্টরা। ব্যক্তিগত বাইক চালকরা দায় চাপাচ্ছেন পেশাদারদের ওপর। আর পেশাদাররা বলছেন, সড়কে যানজটের কারণে আগে যেতে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেন অনেকে। তরুণ বাইকারদের বেপরোয়া গতির কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা।

সড়কে প্রায়ই বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাতে দেখা যায় তরুণ বাইকারদের। কখনও কখনও দলবদ্ধভাবেও সড়কে বেপরোয়া গতিতে বাইক চালিয়ে আতঙ্ক ছড়ায় তারা। বেপরোয়া চালনায় ঘটে দুর্ঘটনা। নিজেরা হতাহতের পাশাপাশি, পথচারিরাও দুর্ঘটনায় পড়েন।

গত কয়েক বছরে মোটর সাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। শুধু রাজধানীতেই চলাচল করে ছয় লাখের বেশি বাইক। সম্প্রতি এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। উবার-পাঠাও অ্যাপসে রাইড শেয়ারিংয়ে রাজধানীর বাইরে থেকেও আসছেন অনেকে। তাই বেড়েছে ট্রাফিক আইন অমান্য এবং জরিমানা ও মামলার সংখ্যাও। ট্রাফিক সার্জেন্টদের এমন পর্যবেক্ষণ স্বীকার করে নিয়েছেন মোটর সাইকেল চালকরা। তবে ব্যক্তিগত চালকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, পেশাদার বাইক চালকদের মধ্যেই আইন ভঙ্গ করার প্রবণতা বেশি।

গবেষণা বলছে, চার চাকার বাহনের তুলনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঝুঁকি ৩০ গুণ বেশি। তারপরও যানজটের শহরে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে মোটরসাইকেল অনেকেরই প্রথম পছন্দ।

 

পীরগঞ্জের আশপাশের ১০ গ্রাম পুরুষশূন্য

পীরগঞ্জের আশপাশের ১০ গ্রাম পুরুষশূন্য

 



রংপুরের পীরগঞ্জে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের তিনটি মামলায় গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে আশেপাশের অন্তত ১০টি গ্রাম। এসব এলাকায় ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বাড়িতে অবস্থান করছেন শিশুসহ নারীরা। ছড়িয়ে পড়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে পীরগঞ্জের করিমপুর-কসবার ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুপাড়া লাগোয়া মুসলমান পাড়ায় প্রবেশ করে দেখা মিললো না কোনো পুরুষের। প্রতিটি বাড়িতেই শুধু নারী আর শিশু। প্রত্যেকের চেহারায় অজানা আতঙ্কের ছাপ।

বেশ খানিকটা পর মসজিদে দেখা মিললো এক মুসল্লির। জানালেন ঘটনার পরের দিন থেকেই মসজিদেও লোকের দেখা নেই। একই পরিবেশ রাজারামপুর, খেজমতপুরসহ কয়েকটি এলাকায়। গ্রেফতার আতঙ্কে পুরুষশূন্য এসব পাড়া মহল্লা। দিনের বেলা এ-বাড়ি ওবাড়ি করে পার করেন নারীরা। রাত হলেই হয়ে পড়েন ভীত-সন্ত্রস্ত। কেননা শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসা জামাইসহ অনেককেই ধরে নিয়ে যেতে দেখেছে তারা। তাই গ্রেফতার এড়াতে স্বামী সন্তানদের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছেন তারা।

পাড়াগুলোয় বসবাসকারী অধিকাংশই দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ। অথচ সপ্তাহখানেক পুরুষরা ঘর ছাড়া। রোজগার নেই, তাই খেয়ে না খেয়েও থাকতে হচ্ছে কাউকে কাউকে।

সম্প্রতি ঘটনাস্থল পরিদর্শন গেলে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের কাছে এসব বিষয় তুলে ধরে স্থানীয়রা। তিনি স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন নিরপরাধ কেউ যেন হয়রানির শিকার না হয়।

রংপুর পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকারও আশ্বাস দিলেন নিরপরাধ কাউকে হয়রানি করা হবে না বলে। একই আশ্বাস দিলেন জেলা প্রশাসক আসিব আহসানও।

হামলার ঘটনায় দায়ের তিনটি মামলায় অজ্ঞাত আসামি ৫শরও বেশি। এ পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ৫৮ জন।

বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন হিরো আলম

বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন হিরো আলম




গত কয়েকদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিরো আলম খ্যাত আশরাফুল আলমের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনা চলছিল। তবে এ নিয়ে তিনি এতদিন কিছু না বললেও হঠাৎ ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে দেয়া ওই পোস্টে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী উল্লেখ করে আলম লেখেন, ও শুধু আমার লাইফ পার্টনার না, ও আমার এই জীবনে চলার পথে সাথী। অনেকেই বলে আমাদের নাকি ছাড়াছাড়ি হয়েছে, এটা পুরোটাই মিথ্যা গুজব। আমরা কি কখনও ফেসবুকে বলেছি আমাদের ছাড়াছাড়ি হয়েছে?

তিনি গুজবে কান না দিয়ে সত্যিটা যাচাই করার পরামর্শ দেন সবাইকে। এছাড়াও ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেছেন, এই জুটি অনেক নাটক, গান ও সিনেমা উপহার দিয়েছে।

 

চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ১৩

চৌমুহনীতে মন্দিরে হামলার ঘটনায় গ্রেফতার ১৩



সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম।


নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনীতে ১৫ অক্টোবর শুক্রবার দুপুরে মন্দিরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার সময় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ দেখে আরও ৮জন ও তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও ৫জনসহ মোট ১৩জনকে গ্রেফতার করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

আজ শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন, সুবর্ণচর উপজেলার চর বহুলা গ্রামের মো. ফরহাদ (২৬), চৌমুহনী পৌরসভার শামীম (২৭), রিপন (১৮), দুলাল (৪০), ছয়ানীর ইউনিয়নের জুয়েল (১৯), আরাফাত হোসেন আবীর (১৮), রাজীব (২৪) ও কামাল (৪৫)।

এদের সবাইকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতাররকৃত অন্যরা হচ্ছেন, বেগমগঞ্জের শহীদ (৪৫), গণিপুরের হুমায়ুন (৬৩), আবু জুবায়ের অরিন (২৫), ইমাম হোসেন রাজু (২৮) ও আলাউদ্দিন (৩৫)।

জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ওইদিনের হামলাটি পূর্ব পরিকল্পিত। হামলাকারীদের এক পক্ষ বাজারের প্রধান সড়কে থাকা পুলিশকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। আর পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৭টি গ্রুপ এক যোগে ৭টি মন্দিরে হামলা চালিয়েছে বলে আমরা বিভিন্ন সূত্রে নিশ্চিত হয়েছি। ভিডিও ফুটেজ দেখে সহিংসতাকারিদের চিহ্নিত করে শনিবার দিনব্যাপী অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে তাদেরকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। বেগমগঞ্জে হামলার ঘটনায় এ পর্যন্ত ১০টি মামলায় ১২২জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

Monday, April 19, 2021

পিরোজপুরে চিরনিদ্রায় তারেক শামসুর রেহমান

পিরোজপুরে চিরনিদ্রায় তারেক শামসুর রেহমান

 




Sunday, April 18, 2021

খুলনায় আইপিএলের ‘বাজি হেরে আত্মহত্যার চেষ্টা’, গ্রেপ্তার

খুলনায় আইপিএলের ‘বাজি হেরে আত্মহত্যার চেষ্টা’, গ্রেপ্তার

 


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ছাত্রলীগ কর্মীর মামলায় চবি ছাত্র কারাগারে

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ছাত্রলীগ কর্মীর মামলায় চবি ছাত্র কারাগারে

 


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ছাত্রলীগ কর্মীর মামলায় চবি ছাত্র কারাগারে
র্থীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শ্রমবাজারে ফের সক্রিয় দালালচক্র

শ্রমবাজারে ফের সক্রিয় দালালচক্র

 


শিগগিরই মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলতে যাচ্ছে এমন খবরে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালালচক্র। বিদেশগামী কর্মীদের কাছ থেকে তারা আগাম পাসপোর্ট ও অগ্রিম টাকা তোলা শুরু করেছে। মালয়েশিয়াতেও বিভিন্ন কোম্পানির ডিমান্ড লেটার সংগ্রহে সক্রিয় রয়েছে চক্রটি। ইতোমধ্যে দেশে ও মালয়েশিয়ায় প্রায় ডজনখানিক দালালকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

মালয়েশিয়া সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের নতুন শ্রমবাজার খোলার লক্ষ্যে সম্প্রতি দুদেশের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার ব্যাপারে উভয় দেশ একমত হলেও সকল রিক্রুটিং এজেন্সি নাকি সীমিত সংখ্যক এজেন্সি কর্মী পাঠানোর অনুমতি পাবে সে বিষয়টির মীমাংসা হয়নি। তবে এ ব্যাপারে শিগগিরই দুদেশ চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসতে পারবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বায়রার সাবেক মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, কোনো দেশের শ্রমবাজার খোলার ব্যাপারে ঘোষণা হলেই দালালদের পাসপোর্ট ও টাকা তোলার প্রবণতা বেড়ে যায়। এই দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে বায়রার গত কমিটি এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় বিদেশগামী কর্মীদের ডেটাবেজ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু কী প্রক্রিয়ায় ডেটাবেজ করা হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এটি হলে এই খাতে দালাল নির্ভরতা থাকবে না। এছাড়া শ্রমবাজার খোলার ঘোষণার পাশাপাশি যদি বলে দেওয়া হয়, কর্মী নেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত অর্থ লেনদেন করা যাবে না এবং ডেটাবেজ ছাড়া কেউ বিদেশ যেতে পারবে না। তাহলে খানিকটা দালাল মুক্ত করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে গণমাধ্যমেও সচেতনতাও বৃদ্ধি করতে হবে।  

এদিকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারটি বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বরাবরই আকর্ষণীয় হওয়ায় এই সেক্টরের ব্যবসায়ী ও দালালচক্রের তৎপরতা সব সময়ই বেশি ছিল। কারণ দেশটিতে কর্মীদের আয় যেমন বেশি তেমনি কর্মপরিবেশও আরামদায়ক। এ ছাড়া কর্মী প্রতি মোট মোটা অঙ্কের কমিশনও পান এক শ্রেণির কর্মকর্তারা। এবারো নতুন শ্রমবাজার খোলার সংবাদে দুদেশের দালালচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কর্মী আনার ডিমান্ড লেটার সংগ্রহে মাঠে নেমেছে। এ সংক্রান্ত বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে গত মাসে দেশটির পুলিশ অন্তত দশজন দালালকে আটক করেছে। দালালদের দৌরাত্ম্য কমাতে দুদেশের প্রতিশ্রুতি থাকলেও আইনি দুর্বলতার কারণে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। গ্রেপ্তারের অল্প সময়ের মধ্যেই তারা আইনের ফাঁক গলিয়ে জামিনে বেরিয়ে যান। জামিনে বেরিয়ে ফের তারা একই অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। ফলে দালালরা থাকে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

রাজধানীর বনানীর একটি রিক্রটিং এজেন্সি থেকে গত সপ্তাহে মো. জামিল হোসাইন (৫১) নামে এক দালালকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ান (র্যাব)। র্যাব জানায়,  দীর্ঘদিন ধরে জামিল হোসাইন রাজনৈতিক দলের নাম ভাঙিয়ে দেশি-বিদেশি দালালদের সহযোগিতায় বিভিন্ন দেশের ভুয়া ডিমান্ড লেটার ও ভুয়া বিজ্ঞাপন তৈরি করে তা লোকজনকে দেখিয়ে পোল্যান্ড, জাপান, মাল্টা, রোমানিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর নাম করে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। ২০১৩ সালেও জামিল হোসাইন মালয়েশিয়ায় অবস্থানকালে মানব পাচারের অভিযোগে মালয়েশিয়ার পুলিশ গ্রেপ্তার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। তারপরও সে বিদেশগামী কর্মীদের প্রতারণার পথ থেকে সরেনি।

অভিযোগে জানা যায়, প্রতারণার শুরুতে জামিল হোসাইন ভিকটিমদেরকে ভুয়া ডিমান্ড লেটার দেখিয়ে তাদের নিকট হতে পাসপোর্ট ও নগদ টাকা নিয়ে নেয়। এক সময় তাদের বিদেশে না পাঠিয়ে এবং টাকা না দিয়ে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে বলে র্যাব সদস্যদের নিকট স্বীকার করে। তার অভিযোগে দেখা যায়, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে জাহিদ হাসানকে (২৪) পোল্যান্ড পাঠানোর আশ্বাস দিয়ে ভুয়া ডিমান্ড লেটার ও ভুয়া নিয়োগ বিজ্ঞাপন দেখিয়ে নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষ সত্তর হাজার টাকা এবং লক্ষ্মীপুরের মফিজুর রহমানের ছেলে ফরিদ আহম্মেদের নিকট হতে তিন লাখ টাকা নেয়। এ ছাড়া বাগেরহাটের হাছিব হাওলাদারের নিকট তিন লাখ টাকা, গুলশান নর্দার কামরুল হাসানের নিকট হতে পাঁচ লাখ ত্রিশ হাজার টাকা, নারায়ণগঞ্জের ইউসুফ আলীর নিকট হতে চার লাখ টাকা আত্মসাৎ করার কথাও স্বীকার করে। জামিল হোসাইন অনেকের কাছ থেকে এভাবে টাকা ও পাসপোর্ট নিয়ে নিজ হেফাজতে রেখেছে। ভুক্তভোগীরা বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও ফেরত দেয়নি। উল্লেখ্য, ২০০৩ সালে প্রতারণার অভিযোগে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ জামিল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে দেশে ফেরত পাঠায়।

মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার হারানোর পেছনে বাংলাদেশ সরকারেরও উদাসীনতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠী বিদেশে পাঠানো যায়, তাহলে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশিদের। বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াজুড়ে রয়েছে বাংলাদেশি দালালচক্রের শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। প্রভাবশালীদের কারণে বরাবরই অধরাই থেকে যায় এ চক্রের গডফাদাররা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রয়োজনীয় উদ্যোগ বাস্তবায়ন ও প্রবাসী দালালচক্রের কারণে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ। 

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কুষ্টিয়া সুগার মিল

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কুষ্টিয়া সুগার মিল

 


কুষ্টিয়া শহর থেকে আট কিলোমিটার দূরে জগতি এলাকায় ১৯৬১ সালে শিল্প প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুম থেকে কারখানায় চিনি উৎপাদন শুরু হয়। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সরকার চিনিকলটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করে। বড় অঙ্কের লোকসান আর দেনার দায় নিয়ে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ৬০ বছরের পুরোনো কুষ্টিয়া সুগার মিল।

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটির জায়গায় সরকার অন্য কিছু করার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাকিবুর রহমান খান। তিনি বলেন, এই মিল গুটিয়ে আনা হচ্ছে। সরকার এটিকে আর চিনিকল হিসেবে চালাবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। তবে এই মিল এরিয়াসহ মোট ২১৬ একর জায়গায় অন্য কিছু করার চিন্তা করা হচ্ছে। এখানে যাতে ১০ হাজার মানুষ কাজ করতে পারে, সে ধরনের কারখানা করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে চিনিকলের জায়গায় কী করা হবে, তা ঠিক করা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে ভালো বিনিয়োগকারী খোঁজা হচ্ছে।

মহাব্যবস্থাপক (অর্থ) খোরশেদ আলম জানান, আখ মাড়াই বন্ধ থাকা চিনিকলটি ৫৪৫ কোটি টাকা লোকসানে আছে বলে প্রতিষ্ঠানটি। ২০১৯-২০ মৌসুমেও ৬১ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। চলতি মৌসুম (২০২০-২১) শেষে লোকসানের অঙ্কে কমপক্ষে আরও ৬০ কোটি টাকা যোগ হবে। কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিকদের বেতন-ভাতা, মজুরি এবং চাষিদের পাওনা ও বিভিন্ন মালামাল ক্রয়ের বকেয়াসহ দেনার দায় জমেছে ২৪ কোটি টাকার। বর্তমানে কর্মকর্তাদের চার মাসের আর শ্রমিক-কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন-ভাতা মিলিয়ে তিন কোটি ১৬ লাখ টাকা বকেয়া আছে। এ ছাড়া চাষিদের দেড় কোটি, মালামাল ক্রয়ের চার কোটি ৪০ লাখ ও অবসরপ্রাপ্তদের বকেয়া আছে সাড়ে ৮ কোটি টাকা। শ্রমিক-কর্মচারীদের বকেয়ার কিছু অংশ পরিশোধ করা হয়েছে।

গত বছরের ২ ডিসেম্বর সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে কুষ্টিয়া চিনিকলসহ ছয়টি মিলের আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। এর আগে থেকেই আন্দোলনে ছিলেন এখানকার শ্রমিক-কর্মচারী ও আখচাষিরা। সরকার ২০২০-২১ মৌসুমের আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ করে এখানকার আখ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা, ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ ও ফরিদপুর চিনিকলে পাঠানোর নির্দেশনা দেয়।

কুষ্টিয়া চিনিকলে গিয়ে দেখা যায় সুনসান নীরবতা। গেটের নিরাপত্তাপ্রহরী ও রেজিস্টারে নাম লিপিবদ্ধকারী কর্মচারীকে অলস সময় কাটাতে দেখা যায়। গেটের বাইরে বা ভেতরে মানুষের আনাগোনা ছিল না। মিলে কাজ নাই মজুরি নাই (কানামনা) ভিত্তিতে কাজ করতেন ১৩৫ জন শ্রমিক। তারাই মূলত কর্মসংকটে পড়েছেন। আন্দোলনেও আছেন তারা। এসব শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানান চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান। মিলের এখন স্থায়ী কর্মী ৩৯৬ জন। এর মধ্যে ২৩ জন কর্মকর্তা। বাকিরা কর্মচারী ও শ্রমিক। মিলটি চালু ও পাওনা টাকার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন আখচাষি ও শ্রমিকরা। তারা কুষ্টিয়া সুগার মিলের ফটকে বেশ কয়েকবার বিক্ষোভ করেন। মিল বন্ধের প্রতিবাদে ঝাড়ু হাতে বিক্ষোভ করতেও দেখা গেছে। শ্রমিক-চাষি সমাবেশ, মানববন্ধনও করেছেন, দিয়েছেন স্মারকলিপিও।

চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান বলেন, চিনিকলে জমে থাকা অনেক চিনিই গত কয়েক মাসে বিক্রি হয়েছে। গত ডিসেম্বরে চিনিকলে মাড়াই বন্ধের সময় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার টন চিনি ছিল অবিক্রীত। এখন সেখানে রয়েছে ৭৩৭.৫৫ মেট্রিক টন চিনি। এর অর্থমূল্য প্রায় ৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা। কলে চিটাগুড় রয়েছে দুই হাজার ২০০ মেট্রিক টন, যার দাম প্রায় ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এগুলো ডিসেম্বরের পর থেকে আর বিক্রি হয়নি।

কাজে যোগ দিলেন ব্যাংক খাতের প্রথম নারী সিইও

কাজে যোগ দিলেন ব্যাংক খাতের প্রথম নারী সিইও

 


পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ট্রাস্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছেন হুমায়রা আজম। দেশের ইতিহাসে তিনিই প্রথম কোনো তফসিলি ব্যাংকের নারী সিইও ও এমডি।

হুমায়রা আজম গত ১৩ এপ্রিল ট্রাস্ট ব্যাংকের সিইও ও এমডির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন বলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে জানানো হয়েছে।

সিইও হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে হুমায়রা আজম ট্রাস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) ছিলেন। পাশাপাশি ব্যাংকটির এমডি ও সিইও হিসেবে চলতি দায়িত্ব পালন করছিলেন। ট্রাস্ট ব্যাংকে যোগদানের আগে হুমায়রা ব্যাংক এশিয়ার চিফ রিস্ক অফিসার (সিআরও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

হুমায়রা আজম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯০ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। তিনি চাকরি করেছেন এইচএসবিসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও আইপিডিসিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে।

কমিটি করে দাম নির্ধারণ করতে চায় কমিশন

কমিটি করে দাম নির্ধারণ করতে চায় কমিশন


 

প্রতিমাসে একবার করে তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য পরিবর্তনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিইআরসি-ঘোষিত আদেশকে আইন বহির্ভূত বলে উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছে কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। গত ১৫ এপ্রিল ক্যাবের আইনজীবীর পাঠানো এক চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে।

কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিলের কাছে পাঠানো চিঠিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ না হওয়ার কথা জানিয়েছে ক্যাব। এতে করে এলপিজির মূল্য হার পরিবর্তনে বিইআরসি যে কমিটি গঠন করছে সেখানে প্রতিনিধি মনোনয়নও দিচ্ছে না ক্যাব। ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শামসুল আলম চিঠি পাঠানোর কথা স্বীকার করে বলেছেন, ‘আমরা মনে করি প্রতি মাসে এলপিজির দাম  নির্ধারণের এখতিয়ার কমিশনের নেই। এতে ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণ হবে না। আইন অনুযায়ী গুণশুনানি করে সাধারণের মতামতের ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করার কথা। তা না করে কমিশন কমিটি করে দাম নির্ধারণ করতে চায়। যা বিইআরসির আইন অনুযায়ী সঠিক নয়।’

ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবীর ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বিইআরসি আইনের ৩৪(৫) ধারা মতে, কোনো জ্বালানির মূল্যহার বছরে প্রয়োজনে একাধিকবার পরিবর্তন করা হতে পারে। কিন্তু প্রতি মাসে অর্থাৎ বছরে ১২ বার নিয়ম করে পরিবর্তন করতে পারে না।

এর আগে বছরে বিদ্যুৎ এবং জ্বালানির দর একবার মাত্র বাড়াতে পারতো বিইআরসি। তবে জ্বালানির স্বাভাবিক দর বৃদ্ধি পেলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সুযোগ ছিল। যদিও জ্বালানির অস্বাভাবিক দাম বাড়ানোর মতো পরিস্থিতি অতীতে হয়নি। সম্প্রতি সংসদে বিইআরসি আইনের ৩৪(৫) ধারা সংশোধন করে দাম একাধিকবার বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে।

গত ১২ এপ্রিল বিইআরসি দেশে এলপিজির দর নির্ধারণ করে। এই আদেশের সঙ্গে সংস্থাটি এও বলে, এখন থেকে প্রতিমাসেই তারা এলপিজির দর নির্ধারণ করে দেবে।

ক্যাব দাবি করেছে মূল্যহার ন্যায্য ও যৌক্তিক হতে হলে এটি নির্ধারণের পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা থাকতে হবে। প্রবিধান মতে গণশুনানি হতে হবে এবং গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে স্বার্থসংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।

সৌদি আরবের সিপির ভিত্তিতে ভোক্তা পর্যায়ে এলপিজি ও অটোগ্যাসের মূল্যহার সম্পর্কে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে বর্ণিত কমিটিতে ক্যাব-এর একজন উপযুক্ত প্রতিনিধির মনোয়ন অবহিত করার অনুরোধ জানিয়েছে বিইআরসি। কিন্তু ক্যাব প্রতিনিধি দিচ্ছে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

হুমকির মুখে রপ্তানি খাত

হুমকির মুখে রপ্তানি খাত

 


করোনা মহামারীর কারণে আবারো হুমকির মুখে পড়েছে দেশের রপ্তানি খাত। গত বছর দেশে করোনার আঘাত হানার পর ধস নামে রপ্তানিতে। তৈরি পোশাক খাতসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে সামগ্রিক অর্থনীতিতে। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানুষের কর্মসংস্থানসহ অর্থনীতির নানা অনুষঙ্গ। গত বছর (২০২০) মার্চে ২৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ, যা আগের বছরের (২০১৯ সাল) একই মাসের তুলনায় ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ কম। এরপর বছরের শেষ দিকে এসে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় রপ্তানি খাত। কিন্তু ফেব্রুয়ারি-মার্চে ইউরোপজুড়ে থেমে থেমে লকডাউনের কারণে খাবি খায় দেশের রপ্তানি খাত। কিন্তু এবার দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের কারণে আবারো এই খাতে ধসের শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি’র হালনাগাদ তথ্য বলছে, জুলাই-মার্চ এই নয় মাসে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩০ হাজার ২৭৯ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু রপ্তানি হয়েছে  ২৮ হাজার ৯৩৮ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার। গত (২০১৯-২০) অর্থবছরে একই সময়ের রপ্তানি হয় ২৮ হাজার ৯৭৩ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় রপ্তানি কমেছে ৩৫ মিলিয়ন ডলার। এই নয় মাসে দেশের তৈরি পোশাক খাতে (নিটওয়্যার ও ওভেন) ২৪ হাজার ৯৫০ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি হয় ২৩ হাজার ৪৮৭ দশমিক ৯১ মিলিয়ন ডলার (লক্ষ্যমাত্রার দেড় প্রায় দেড় হাজার মিলিয়ন ডলার কম) রপ্তানি হয়েছে। অথচ গত অর্থবছরে (২০১৯-২০২০) একই সময়ে রপ্তানি হয় ২৪ হাজার ১০৩ দশমিক ৭২ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় সাতশ মিলিয়ন ডলারের কম রপ্তানি আদেশ পায় পোশাক খাত। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে টেক্সটাইল খাত। গত নয় মাসে ৭০৮ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৪৬ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি আদেশ পায় এই সেক্টর, যা ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় আড়াইশ মিলিয়ন ডলার বেশি (৫৯৮.১৯ মিলিয়ন ডলার)

এ ছাড়া কৃষিপণ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হলেও গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে। ২০২০-২০২১ (জুলাই-মার্চ) অর্থবছরে ৭৯০ দশমিক ৭২ মিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি হয় ৭৪৬.৭২ মিলিয়ন ডলার, যা ২০১৯-২০২০ (জুলাই-মার্চ)  অর্থবছরে ছিল
উপকূলীয় অঞ্চলে সয়াবিনের আবাদ কমছে

উপকূলীয় অঞ্চলে সয়াবিনের আবাদ কমছে

 


বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা সয়াবিনসমৃদ্ধ জেলা। লক্ষ্মীপুর জেলার প্রায় সব উপজেলায়, বিশেষ করে রামগতি, কমলনগর, লক্ষ্মীপুর সদরের দক্ষিণাংশ এবং রায়পুর উপজেলার চরবংশী, চরআবাবিল ও চরকাছিয়া মিলিয়ে গত রবি মৌসুমে প্রায় ৫৪,৪৫৫ হেক্টর, নোয়াখালী জেলায় ১৬,২৮২ হেক্টর এবং দেশের অন্যান্য স্থানে ১,৭৮০ হেক্টরসহ সর্বমোট ৭২,৫১৭ হেক্টর জমিতে সয়াবিনের আবাদ হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চল, বিশেষ করে ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা এবং খুলনায় সয়াবিনের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাট, রংপুর, পাবনা, ঈশ্বরদী ও শাহজাদপুরে রবি-খরিপ মৌসুমে (গ্রীষ্মকালে) সয়াবিন আবাদ বিগত ৪-৫ বছর আগে শুরু হয়েছে। বিগত কয়েক বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার শস্য পরিক্রমায় রবি ফসল হিসেবে সয়াবিন একক ও অনন্য সাধারণ ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সয়াবিন চাষিদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সয়াবিন চাষে ঝুঁকি ও খরচ বাদামের তুলনায় অনেক কম, লাভ অনেক বেশি। সয়াবিন উত্তোলনের পর ঐ জমিতে আউশ/আমন ধানের ফলন খুব ভালো হয়। কারণ সয়াবিন একটি উত্তম বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেন আবদ্ধকারী লিগুম ফসল হিসেবে মাটিতে নাইট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি আবাদ মৌসুমে সয়াবিন মাটিতে হেক্টর প্রতি ২৫০-২৭৭ কেজি নাইট্রোজেন সংযোজন করতে পারে, যা ফসলের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেনের শতকরা প্রায় ৮০-৮৫ ভাগ। এ ছাড়া সয়াবিনের পাতাসহ অন্যান্য দৈহিক অংশ এবং শিকড় অল্প সময়ের মধ্যে পচে-গলে মাটিতে জৈব পদার্থ যোগ করে। এর ফলে মাটির স্বাস্থ্য ও পরিবেশ অনেক উন্নত হয়। মাটিতে ক্ষুদ্র অণুজীবের কার্যাবলি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। মাটি হয় পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এভাবে মাটি পরবর্তী ফসলে পুষ্টি উপাদান সরবরাহ নিশ্চিত করে। পোলট্রি শিল্প বিকশিত হওয়ার কারণে সয়াবিনের দেশীয় চাহিদা প্রতি বছর প্রায় ২৭-২৯ লক্ষ টন অথচ সয়াবিন সমৃদ্ধ বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে মাত্র ১-১.৫ লক্ষ টন, তার চেয়ে কম বা বেশি সয়াবিন উৎপাদিত হয়। সকল তৈলবীজ ফসলের মধ্যে সয়াবিন অত্যন্ত সংবেদনশীল তৈলবীজ। সয়াবিনে ৪০-৪৫ ভাগ প্রোটিন বিদ্যমান যা অন্যান্য তৈলবীজ ফসলে মাত্র ২০-২২ ভাগ। এই উচ্চ মাত্রার প্রোটিন থাকার কারণে যখনই সয়াবিন বীজ উন্মুক্ত পরিবেশে আনা হয় তখনই ঐুমৎড়ংপড়ঢ়রপ ঘধঃঁৎব বাতাস থেকে আর্দ্রতা গ্রহণ করে। ঐ অবস্থায় মাটির আর্দ্রতা বেশি থাকলে সয়াবিন বীজ কম অঙ্কুরিত হয়। জলবায়ু সংকটে সয়াবিন চাষ অনেকটা হুমকির মুখে। পূর্বেই বলা হয়েছে, সয়াবিন অত্যন্ত সংবেদনশীল বীজ। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা এ দুটি উপাদান সয়াবিন বীজের অঙ্কুরোদ্গমের নিয়ামক শক্তি। কাজেই চাষিদের সয়াবিন বীজ রোপণের ক্ষেত্রে এ দুটি উপাদানের বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্তে প্রমাণিত, মাটির তাপমাত্রা ৯০ সেলসিয়াস-এর নিচে থাকলে সয়াবিন বীজ যতই সজীব থাকুক না তা কম অঙ্কুরিত হয় (সগবি, বিএআরআই, নোয়াখালী)।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সয়াবিনের আবাদ এলাকা বিগত ২০১৩ সাল শুরু করে (২০১৬ সাল ব্যতীত) প্রতি বছর কোনো না কোনোভাবেই ব্যাহত হচ্ছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তিন বার ফ্লাশ ফ্লাডের বা হঠাৎ জ্বলোচ্ছ্বাসের কারণে বৃহত্তর উপকূলীয় অঞ্চলে খরিপ মৌসুমে আবাদকৃত সয়াবিনের প্রায় ৬০ % আবাদ এলাকা জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়। এতে সয়াবিন চাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খরিপ মৌসুমে আবাদকৃত বীজ রবি মৌসুমে বীজ হিসেবে ব্যবহূত হয়। ফলে বাজারে বীজ সংকট দেখা দেয়। এক কেজি সয়াবিন বীজের বাজার মূল্য ১৫০-২৮০ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করে। সয়াবিন চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। বিএডিসির বীজের সরবরাহ বাজারে মোটামুটি সন্তোষজনক থাকলেও কৃষক খরিপের বীজ ব্যবহারে আগ্রহী। কারণ খরিপ মৌসুমে আবাদকৃত বীজের অঙ্কুরোদ্গম ক্ষমতা প্রায় শতভাগ যা রবি মৌসুমে বীজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে সরকার কর্তৃক ধানের মূল্য বৃদ্ধি করার কারণে কৃষক ধান চাষের প্রতি ঝুঁকছে। ফলে ২০২০-২০২১ রবি মৌসুমে সয়াবিনের প্রায় ২৫-৩০ ভাগ আবাদ এলাকা বোরো আবাদে পরিণত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের বাজার মূল্য বৃদ্ধি পেলেও আমাদের দেশে ফড়িয়াসহ আড়তদারদের সিন্ডিকেট ব্যবস্থার কারণে কৃষক সয়াবিনের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে অন্য অর্থকরী ফসল তরমুজ আবাদে ঝুঁকছে। এখানেও দেখা যায়, সয়াবিনের আবাদ জমির প্রায় ২০-২৫ ভাগ তরমুজ চাষে পরিবর্তিত হয়েছে। অন্যদিকে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা-এর মতো সয়াল্যান্ড খ্যাত লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলার প্রায় ১২,০০০ হাজার হেক্টর সয়াবিন আবাদ এলাকা মেঘনা নদী ভাঙনের ফলে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এভাবে সয়াবিন আবাদ এলাকা ক্রমেই কমে যাচ্ছে বলে কৃষিবিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণবিদরা মতামত পেশ করেছেন। এর থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের কৃষি বিভাগগুলোর আরো তৎপর হওয়া একান্ত প্রয়োজন। সাথে সাথে উচ্চফলনশীল জাতের চাষাবাদ বাড়ানো, জীবাণু সার ব্যবহার, সয়াবিন চাষে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য বৃহত্তর নোয়াখালী জেলাকে সয়াবিন আবাদে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তিকরণ, সয়াবিন আবাদ মৌসুমে ২-৪% সুদে কৃষি লোনের ব্যবস্থাকরণ এবং সয়াবিনের মূল্য বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি। সর্বোপরি সয়াবিন আবাদে দুর্যোগকালীন সময়ে সয়াবিন চাষিদের সরকারিভাবে ভর্তুকি তহবিল হতে ভর্তুকি প্রদানের ব্যবস্থা করা।

লেখক :ড. মুহাম্মদ মহীউদ্দীন চৌধুরী

প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সগবি, বিএআরআই, নোয়াখালী

মোবাইল-০১৮২৭৮৬৫৮৬০

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী সরকার গঠন

মিয়ানমারে জান্তাবিরোধী সরকার গঠন


মিয়ানমারে জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করেছে সামরিক সরকারবিরোধীরা।

গতকাল শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) পার্লামেন্ট সদস্য, জান্তাবিরোধী বিক্ষোভের নেতা ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর সদস্যরা মিলে এই সরকার গঠন করে।

এক ভিডিও বার্তায় জাতীয় ঐক্য সরকারের মুখপাত্র জানান, মিয়ানমারে সামরিক শাসনের অবসান ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা তাদের একমাত্র লক্ষ্য।

নতুন সরকার গঠন নিয়ে এখন পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেয়নি জান্তা সরকার।

এদিকে, এদিনও সামরিক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে দেশটিতে।

 

বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য চুক্তি সই

বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য চুক্তি সই


 

দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সই করেছে বাংলাদেশ ও ভুটান। আজ রোববার নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও ভুটানের অর্থ-বাণিজ্যমন্ত্রী লোকনাথ শর্মা।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটান থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং সংযুক্ত ছিলেন। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭১ এর ৬ই ডিসেম্বর ভুটান প্রথম বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়। ঐতিহাসিকে এই দিনেই অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই করা হলো।

দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সইয়ের ফলে বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। আর ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাবে। পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে পণ্য সংখ্যা বাড়ানো হবে।

বাংলাদেশের পণ্যের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প, পাটজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী যেমন জুস, কনডেন্সড মিল্ক, বিস্কিট, পাউরুটি, কৃষিজাত পণ্য যেমন- আলু, প্রসাধনী সামগ্রী, টয়লেট্রিজ পণ্য যেমন সাবান ও শ্যাম্পু, শুঁটকি মাছ, সিমেন্ট, চা, প্লাইউড, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য।

আর ভুটান থেকে বোল্ডার, জিপসাম, ডোলোমাইট, ফল ও জুস, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য যেমন জ্যাম ও জেলি, মসলা, ফার্নিচারসহ অন্যান্য পণ্য।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে এক কোটি ২৮ লাখ ডলার বাণিজ্য হয়েছিল।ধীরে ধীরে তা বেড়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।

এর মধ্যে বাংলাদেশ ভুটানে রফতানি করেছে ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের পণ্য। আর ভুটান থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ডলা

Monday, March 8, 2021

খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ

খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা 

 প্রকাশ: ০৮ মার্চ ২০২১,

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াফাইল ছবি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত সাজা স্থগিত করে আগের শর্তেই মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ–সম্পর্কিত নথিতে অনুমোদন দিয়েছেন এবং সেই নথি আজ সোমবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়াতে ৩ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইসকান্দার। আবেদনের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান তাতে স্বাক্ষর করে সেটি সচিবের দপ্তরে পাঠান। বিজ্ঞাপন সে সময় খালেদা জিয়ার জামিনের শর্তের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, শর্ত দুটি হলো খালেদা ঢাকায় তাঁর নিজ বাসায় থাকবেন এবং এ সময় তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের মুক্তি পান। এরপর গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁর শর্ত সাপেক্ষে জামিনের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। মুক্তির পর থেকে গুলশানে ‘ফিরোজা’ নামের বাড়িটিতে থাকেন খালেদা। মুক্তির পর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেননি তিনি। পরিবারের সদস্য ছাড়া দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করেননি তিনি। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রথমে পাঁচ বছরের এবং পরবর্তী সময়ে তা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় চার থেকে পাঁচজনের একটি মেডিকেল টিম রয়েছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, চোখের প্রদাহ, হৃদ্‌রোগ সমস্যাসহ নানা রকম শারীরিক জটিলতা রয়েছে।