Showing posts with label জাতীয়. Show all posts
Showing posts with label জাতীয়. Show all posts

Saturday, October 23, 2021

রাস্তায় আইনভঙ্গে শীর্ষে বাইকাররা

রাস্তায় আইনভঙ্গে শীর্ষে বাইকাররা




রাজধানীতে ট্রাফিক আইন অমান্যে শীর্ষে বাইকাররা। এমনটা বলছেন ট্রাফিক সার্জেন্টরা। ব্যক্তিগত বাইক চালকরা দায় চাপাচ্ছেন পেশাদারদের ওপর। আর পেশাদাররা বলছেন, সড়কে যানজটের কারণে আগে যেতে ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করেন অনেকে। তরুণ বাইকারদের বেপরোয়া গতির কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা।

সড়কে প্রায়ই বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাতে দেখা যায় তরুণ বাইকারদের। কখনও কখনও দলবদ্ধভাবেও সড়কে বেপরোয়া গতিতে বাইক চালিয়ে আতঙ্ক ছড়ায় তারা। বেপরোয়া চালনায় ঘটে দুর্ঘটনা। নিজেরা হতাহতের পাশাপাশি, পথচারিরাও দুর্ঘটনায় পড়েন।

গত কয়েক বছরে মোটর সাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। শুধু রাজধানীতেই চলাচল করে ছয় লাখের বেশি বাইক। সম্প্রতি এই সংখ্যা আরও বেড়েছে। উবার-পাঠাও অ্যাপসে রাইড শেয়ারিংয়ে রাজধানীর বাইরে থেকেও আসছেন অনেকে। তাই বেড়েছে ট্রাফিক আইন অমান্য এবং জরিমানা ও মামলার সংখ্যাও। ট্রাফিক সার্জেন্টদের এমন পর্যবেক্ষণ স্বীকার করে নিয়েছেন মোটর সাইকেল চালকরা। তবে ব্যক্তিগত চালকরা বলছেন ভিন্ন কথা। তাদের দাবি, পেশাদার বাইক চালকদের মধ্যেই আইন ভঙ্গ করার প্রবণতা বেশি।

গবেষণা বলছে, চার চাকার বাহনের তুলনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার ঝুঁকি ৩০ গুণ বেশি। তারপরও যানজটের শহরে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছাতে মোটরসাইকেল অনেকেরই প্রথম পছন্দ।

 

মন্দির ও ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ করে দিতে হবে: চরমোনাই পীর

মন্দির ও ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি পুনর্নির্মাণ করে দিতে হবে: চরমোনাই পীর

 



পুরানা পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব দাবি জানান।

যেসব মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেগুলো পুনর্নির্মাণ করে দিতে হবে। পাশাপাশি সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়িও সরকারিভাবে পুনর্নির্মাণ করে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম।

শনিবার (২৩ অক্টোবর) পুরানা পল্টনে দলীর কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব দাবি জানান।

চরমোনাই পীর আরও বলেন, চাঁদপুরে পুলিশের গুলিতে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবারসহ ক্ষতিগ্রস্ত সকল ব্যক্তি ও পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সাম্প্রদায়িক হামলা কখনোই ইসলাম সমর্থন করে না। এর পেছনে বড় কোন ষড়যন্ত্র আছে কী না, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছে চরমোনাই পীর ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর রেজাউল করীম।

তিনি বলেন, ধর্মীয় অবমাননা দেখলে জনরোষ হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে, হিন্দুদের বাড়িতে হামলা ও অবমাননার প্রতিবাদ করলে তাদের উপর পুলিশের হামলা মেনে নেয়া যায় না। উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে, কেউ কেউ ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করছেন। বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করতে পার্শ্ববর্তী দেশের কেউ ষড়যন্ত্র করলে তাদের কঠোর বার্তা দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান চরমোনাই পীর। সার্চ কমিটির নামে আরেকটি পুতুল নির্বাচন কমিশন করার প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

Sunday, April 18, 2021

উপকূলীয় অঞ্চলে সয়াবিনের আবাদ কমছে

উপকূলীয় অঞ্চলে সয়াবিনের আবাদ কমছে

 


বৃহত্তর নোয়াখালী জেলা সয়াবিনসমৃদ্ধ জেলা। লক্ষ্মীপুর জেলার প্রায় সব উপজেলায়, বিশেষ করে রামগতি, কমলনগর, লক্ষ্মীপুর সদরের দক্ষিণাংশ এবং রায়পুর উপজেলার চরবংশী, চরআবাবিল ও চরকাছিয়া মিলিয়ে গত রবি মৌসুমে প্রায় ৫৪,৪৫৫ হেক্টর, নোয়াখালী জেলায় ১৬,২৮২ হেক্টর এবং দেশের অন্যান্য স্থানে ১,৭৮০ হেক্টরসহ সর্বমোট ৭২,৫১৭ হেক্টর জমিতে সয়াবিনের আবাদ হয়েছে। এ ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চল, বিশেষ করে ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা এবং খুলনায় সয়াবিনের চাষাবাদ শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গের লালমনিরহাট, রংপুর, পাবনা, ঈশ্বরদী ও শাহজাদপুরে রবি-খরিপ মৌসুমে (গ্রীষ্মকালে) সয়াবিন আবাদ বিগত ৪-৫ বছর আগে শুরু হয়েছে। বিগত কয়েক বছরের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে দেখা যায়, বৃহত্তর নোয়াখালী জেলার শস্য পরিক্রমায় রবি ফসল হিসেবে সয়াবিন একক ও অনন্য সাধারণ ফসল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। সয়াবিন চাষিদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, সয়াবিন চাষে ঝুঁকি ও খরচ বাদামের তুলনায় অনেক কম, লাভ অনেক বেশি। সয়াবিন উত্তোলনের পর ঐ জমিতে আউশ/আমন ধানের ফলন খুব ভালো হয়। কারণ সয়াবিন একটি উত্তম বায়ুমণ্ডলীয় নাইট্রোজেন আবদ্ধকারী লিগুম ফসল হিসেবে মাটিতে নাইট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি আবাদ মৌসুমে সয়াবিন মাটিতে হেক্টর প্রতি ২৫০-২৭৭ কেজি নাইট্রোজেন সংযোজন করতে পারে, যা ফসলের প্রয়োজনীয় নাইট্রোজেনের শতকরা প্রায় ৮০-৮৫ ভাগ। এ ছাড়া সয়াবিনের পাতাসহ অন্যান্য দৈহিক অংশ এবং শিকড় অল্প সময়ের মধ্যে পচে-গলে মাটিতে জৈব পদার্থ যোগ করে। এর ফলে মাটির স্বাস্থ্য ও পরিবেশ অনেক উন্নত হয়। মাটিতে ক্ষুদ্র অণুজীবের কার্যাবলি বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। মাটি হয় পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ। এভাবে মাটি পরবর্তী ফসলে পুষ্টি উপাদান সরবরাহ নিশ্চিত করে। পোলট্রি শিল্প বিকশিত হওয়ার কারণে সয়াবিনের দেশীয় চাহিদা প্রতি বছর প্রায় ২৭-২৯ লক্ষ টন অথচ সয়াবিন সমৃদ্ধ বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলে মাত্র ১-১.৫ লক্ষ টন, তার চেয়ে কম বা বেশি সয়াবিন উৎপাদিত হয়। সকল তৈলবীজ ফসলের মধ্যে সয়াবিন অত্যন্ত সংবেদনশীল তৈলবীজ। সয়াবিনে ৪০-৪৫ ভাগ প্রোটিন বিদ্যমান যা অন্যান্য তৈলবীজ ফসলে মাত্র ২০-২২ ভাগ। এই উচ্চ মাত্রার প্রোটিন থাকার কারণে যখনই সয়াবিন বীজ উন্মুক্ত পরিবেশে আনা হয় তখনই ঐুমৎড়ংপড়ঢ়রপ ঘধঃঁৎব বাতাস থেকে আর্দ্রতা গ্রহণ করে। ঐ অবস্থায় মাটির আর্দ্রতা বেশি থাকলে সয়াবিন বীজ কম অঙ্কুরিত হয়। জলবায়ু সংকটে সয়াবিন চাষ অনেকটা হুমকির মুখে। পূর্বেই বলা হয়েছে, সয়াবিন অত্যন্ত সংবেদনশীল বীজ। তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা এ দুটি উপাদান সয়াবিন বীজের অঙ্কুরোদ্গমের নিয়ামক শক্তি। কাজেই চাষিদের সয়াবিন বীজ রোপণের ক্ষেত্রে এ দুটি উপাদানের বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। বৈজ্ঞানিক তথ্য-উপাত্তে প্রমাণিত, মাটির তাপমাত্রা ৯০ সেলসিয়াস-এর নিচে থাকলে সয়াবিন বীজ যতই সজীব থাকুক না তা কম অঙ্কুরিত হয় (সগবি, বিএআরআই, নোয়াখালী)।

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সয়াবিনের আবাদ এলাকা বিগত ২০১৩ সাল শুরু করে (২০১৬ সাল ব্যতীত) প্রতি বছর কোনো না কোনোভাবেই ব্যাহত হচ্ছে। ২০২০ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত তিন বার ফ্লাশ ফ্লাডের বা হঠাৎ জ্বলোচ্ছ্বাসের কারণে বৃহত্তর উপকূলীয় অঞ্চলে খরিপ মৌসুমে আবাদকৃত সয়াবিনের প্রায় ৬০ % আবাদ এলাকা জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়। এতে সয়াবিন চাষিরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খরিপ মৌসুমে আবাদকৃত বীজ রবি মৌসুমে বীজ হিসেবে ব্যবহূত হয়। ফলে বাজারে বীজ সংকট দেখা দেয়। এক কেজি সয়াবিন বীজের বাজার মূল্য ১৫০-২৮০ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করে। সয়াবিন চাষিরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। বিএডিসির বীজের সরবরাহ বাজারে মোটামুটি সন্তোষজনক থাকলেও কৃষক খরিপের বীজ ব্যবহারে আগ্রহী। কারণ খরিপ মৌসুমে আবাদকৃত বীজের অঙ্কুরোদ্গম ক্ষমতা প্রায় শতভাগ যা রবি মৌসুমে বীজ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। অন্যদিকে সরকার কর্তৃক ধানের মূল্য বৃদ্ধি করার কারণে কৃষক ধান চাষের প্রতি ঝুঁকছে। ফলে ২০২০-২০২১ রবি মৌসুমে সয়াবিনের প্রায় ২৫-৩০ ভাগ আবাদ এলাকা বোরো আবাদে পরিণত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের বাজার মূল্য বৃদ্ধি পেলেও আমাদের দেশে ফড়িয়াসহ আড়তদারদের সিন্ডিকেট ব্যবস্থার কারণে কৃষক সয়াবিনের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে অন্য অর্থকরী ফসল তরমুজ আবাদে ঝুঁকছে। এখানেও দেখা যায়, সয়াবিনের আবাদ জমির প্রায় ২০-২৫ ভাগ তরমুজ চাষে পরিবর্তিত হয়েছে। অন্যদিকে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা-এর মতো সয়াল্যান্ড খ্যাত লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও কমলনগর উপজেলার প্রায় ১২,০০০ হাজার হেক্টর সয়াবিন আবাদ এলাকা মেঘনা নদী ভাঙনের ফলে নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এভাবে সয়াবিন আবাদ এলাকা ক্রমেই কমে যাচ্ছে বলে কৃষিবিজ্ঞানী ও সম্প্রসারণবিদরা মতামত পেশ করেছেন। এর থেকে উত্তরণের জন্য সরকারের কৃষি বিভাগগুলোর আরো তৎপর হওয়া একান্ত প্রয়োজন। সাথে সাথে উচ্চফলনশীল জাতের চাষাবাদ বাড়ানো, জীবাণু সার ব্যবহার, সয়াবিন চাষে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য বৃহত্তর নোয়াখালী জেলাকে সয়াবিন আবাদে কৃষি যান্ত্রিকীকরণ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তিকরণ, সয়াবিন আবাদ মৌসুমে ২-৪% সুদে কৃষি লোনের ব্যবস্থাকরণ এবং সয়াবিনের মূল্য বৃদ্ধি করা সময়ের দাবি। সর্বোপরি সয়াবিন আবাদে দুর্যোগকালীন সময়ে সয়াবিন চাষিদের সরকারিভাবে ভর্তুকি তহবিল হতে ভর্তুকি প্রদানের ব্যবস্থা করা।

লেখক :ড. মুহাম্মদ মহীউদ্দীন চৌধুরী

প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, সগবি, বিএআরআই, নোয়াখালী

মোবাইল-০১৮২৭৮৬৫৮৬০

এবার ঢাকা ছাড়লেন ২১৪ কানাডিয়ান

এবার ঢাকা ছাড়লেন ২১৪ কানাডিয়ান


 

বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির মধ্যে ঢাকা ছাড়লেন কানাডার ২১৪ নাগরিক। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার কিছু সময় পর কাতার এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়ে নিজ দেশের উদ্দেশে রওনা হন তারা।

বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ-উল-আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে বিশেষ ফ্লাইটে সোমবার ঢাকা ছেড়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ৩২৮ নাগরিক। তার আগে গত ৩০ মার্চ কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ছাড়েন যুক্তরাষ্ট্রের ২৬৯ নাগরিক, কূটনীতিক ও পর্যটক। পরে ৫ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের নিয়ে দ্বিতীয় উড়োজাহাজটি ঢাকা ছাড়ে।

এ ছাড়া গত ১০ এপ্রিল জার্মানির ভাড়া ফ্লাইটে ইউরোপের ১২৩, ২ এপ্রিল জাপানের ৩২৭, ২৬ মার্চ ভুটানের ১৩৯ নাগরিক এবং ২৫ মার্চ মালয়েশিয়ার ২২৫ নাগরিক দেশে ফিরে যান।

বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য চুক্তি সই

বাংলাদেশ-ভুটান বাণিজ্য চুক্তি সই


 

দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) সই করেছে বাংলাদেশ ও ভুটান। আজ রোববার নিজ নিজ দেশের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি ও ভুটানের অর্থ-বাণিজ্যমন্ত্রী লোকনাথ শর্মা।

চুক্তি সই অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটান থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং সংযুক্ত ছিলেন। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

১৯৭১ এর ৬ই ডিসেম্বর ভুটান প্রথম বাংলাদেশকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয়। ঐতিহাসিকে এই দিনেই অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সই করা হলো।

দ্বিপাক্ষিক চুক্তি সইয়ের ফলে বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। আর ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাবে। পরবর্তীতে আলোচনার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে পণ্য সংখ্যা বাড়ানো হবে।

বাংলাদেশের পণ্যের মধ্যে রয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প, পাটজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী যেমন জুস, কনডেন্সড মিল্ক, বিস্কিট, পাউরুটি, কৃষিজাত পণ্য যেমন- আলু, প্রসাধনী সামগ্রী, টয়লেট্রিজ পণ্য যেমন সাবান ও শ্যাম্পু, শুঁটকি মাছ, সিমেন্ট, চা, প্লাইউড, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যসহ অন্যান্য পণ্য।

আর ভুটান থেকে বোল্ডার, জিপসাম, ডোলোমাইট, ফল ও জুস, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য যেমন জ্যাম ও জেলি, মসলা, ফার্নিচারসহ অন্যান্য পণ্য।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে এক কোটি ২৮ লাখ ডলার বাণিজ্য হয়েছিল।ধীরে ধীরে তা বেড়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ ডলার।

এর মধ্যে বাংলাদেশ ভুটানে রফতানি করেছে ৭৫ লাখ ৬০ হাজার ডলারের পণ্য। আর ভুটান থেকে বাংলাদেশে আমদানি হয়েছে ৪ কোটি ৯৯ লাখ ডলা

Monday, April 12, 2021

বিশ্বশান্তি সুসংহত করতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বশান্তি সুসংহত করতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রধানমন্ত্রী

 


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা এখন আগের সময়ের চেয়ে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ করেছিলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সেই আদর্শ ও নীতি অনুসরণ করেই আমরা আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সাজিয়েছি। বিশ্বশান্তি সুসংহত করতে বাংলাদেশ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আয়োজিত অনুশীলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অনুশীলনে অংশগ্রহণকারী সব দেশের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং সরকার-প্রধানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান শেখ হাসিনা। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই অনুশীলন অনুষ্ঠানে যে সকল দেশ অংশ নিয়েছে, তাদের সবার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এক নতুন মাত্রা পেল।