Sunday, April 18, 2021

হুমকির মুখে রপ্তানি খাত

 


করোনা মহামারীর কারণে আবারো হুমকির মুখে পড়েছে দেশের রপ্তানি খাত। গত বছর দেশে করোনার আঘাত হানার পর ধস নামে রপ্তানিতে। তৈরি পোশাক খাতসহ বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। যার প্রভাব পড়ে সামগ্রিক অর্থনীতিতে। কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে মানুষের কর্মসংস্থানসহ অর্থনীতির নানা অনুষঙ্গ। গত বছর (২০২০) মার্চে ২৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ, যা আগের বছরের (২০১৯ সাল) একই মাসের তুলনায় ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ কম। এরপর বছরের শেষ দিকে এসে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায় রপ্তানি খাত। কিন্তু ফেব্রুয়ারি-মার্চে ইউরোপজুড়ে থেমে থেমে লকডাউনের কারণে খাবি খায় দেশের রপ্তানি খাত। কিন্তু এবার দেশে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় লকডাউনের কারণে আবারো এই খাতে ধসের শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি’র হালনাগাদ তথ্য বলছে, জুলাই-মার্চ এই নয় মাসে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩০ হাজার ২৭৯ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু রপ্তানি হয়েছে  ২৮ হাজার ৯৩৮ দশমিক ৩৫ মিলিয়ন ডলার। গত (২০১৯-২০) অর্থবছরে একই সময়ের রপ্তানি হয় ২৮ হাজার ৯৭৩ দশমিক ৮৩ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় রপ্তানি কমেছে ৩৫ মিলিয়ন ডলার। এই নয় মাসে দেশের তৈরি পোশাক খাতে (নিটওয়্যার ও ওভেন) ২৪ হাজার ৯৫০ দশমিক ৬৩ মিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি হয় ২৩ হাজার ৪৮৭ দশমিক ৯১ মিলিয়ন ডলার (লক্ষ্যমাত্রার দেড় প্রায় দেড় হাজার মিলিয়ন ডলার কম) রপ্তানি হয়েছে। অথচ গত অর্থবছরে (২০১৯-২০২০) একই সময়ে রপ্তানি হয় ২৪ হাজার ১০৩ দশমিক ৭২ মিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় সাতশ মিলিয়ন ডলারের কম রপ্তানি আদেশ পায় পোশাক খাত। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে টেক্সটাইল খাত। গত নয় মাসে ৭০৮ দশমিক ৯৭ মিলিয়ন ডলারের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮৪৬ দশমিক ৪৫ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি আদেশ পায় এই সেক্টর, যা ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় আড়াইশ মিলিয়ন ডলার বেশি (৫৯৮.১৯ মিলিয়ন ডলার)

এ ছাড়া কৃষিপণ্যে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হলেও গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে। ২০২০-২০২১ (জুলাই-মার্চ) অর্থবছরে ৭৯০ দশমিক ৭২ মিলিয়ন ডলার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রপ্তানি হয় ৭৪৬.৭২ মিলিয়ন ডলার, যা ২০১৯-২০২০ (জুলাই-মার্চ)  অর্থবছরে ছিল

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: