Showing posts with label লাইফ স্টাইল. Show all posts
Showing posts with label লাইফ স্টাইল. Show all posts

Saturday, October 23, 2021

মৃত্যু হবে দুপুরে, আগেই কাফন পরে কবরে বসেছিলেন ১০৯ বছরের বৃদ্ধ!

মৃত্যু হবে দুপুরে, আগেই কাফন পরে কবরে বসেছিলেন ১০৯ বছরের বৃদ্ধ!




ছবি: সংগৃহীত।

১০৯ বছরের বৃদ্ধ। যেকোনো সময় মৃত্যু হতে পারে এই আশঙ্কায় কবর খুঁড়ে তার পাশে বসে দিন কাটাচ্ছেন তিনি।ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বড়বাঁকি জেলার।

আর এস’র এক প্রতিবেদনে জানা যায়, পরিবার-পরিজনদের ডেকে কবরের পাশে দিনভর বসেছিলেন বৃদ্ধ। পরেছিলেন কাফনও।

এভাবে বসে থাকার কারণ হিসেবে তিনি জানান, ফেরেশতারা তাকে জানিয়েছেন, ১টা বেজে ১০ মিনিটে তিনি মারা যাবেন। সেই কারণে বসে আছেন কবরের পাশে।

বৃদ্ধ নিজেই কাফন পরে বসে পড়েন কবরের পাশে। আর তা দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা। বিভিন্ন এলাকা থেকেও লোকজন আসেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। তারাও সেখানে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে শুরু করে। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও ওই বৃদ্ধের কিছু হয়নি। তখন বৃদ্ধকে অনেক বুঝিয়ে বাড়ি পাঠান পুলিশ।

মুহম্মদ শাফি নামের ওই বৃদ্ধ জানান, তিনি জানতে পেরেছিলেন যে, তিনি মারা যাবেন ১টা বেজে ১০ মিনিটে। সেই কারণে আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে বসেছিলেন।

তিনি আরও জানান, বছর পাঁচেক আগেই তার মৃত্যুর কথা ছিল। কিন্তু সেবার তিনি মরেননি।

পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ।

 

Sunday, April 18, 2021

‘কোয়ারেনটাইন’ শব্দের উদ্ভব ইবনে সিনার আইসোলেশন পদ্ধতি

‘কোয়ারেনটাইন’ শব্দের উদ্ভব ইবনে সিনার আইসোলেশন পদ্ধতি


 

ইরানে জন্মগ্রহণকারী ইবনে সিনা ছিলেন মুসলিম দুনিয়া তথা বিশ্বের একজন অগ্রণী বিজ্ঞানী, গবেষক ও দার্শনিক। তার পুরো নাম আবু আলি আল হুসেইন ইন আবদুল্লাহ ইবন-সিনা। অবশ্য পাশ্চাত্যে তিনি পরিচিত আভিসিনাহ নামে। তার ছিল বিভিন্ন বিষয়ে বিরল প্রতিভা। এককথায় পলিম্যাথ বা বহুবিদ্যাধর।

ইবনে সিনা ছিলেন একাধারে চিকিৎসাবিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, দার্শনিক। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি ৪৫০টি গবেষণাগ্রন্থ লিখেছিলেন। তার মধ্যে এখনও ২৪০টি গ্রহ পাওয়া যায়।

ইবনে সিনাকে দুনিয়ার আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনকও বলা হয়। তার সময়কাল ছিল ৯৮০-১০৩৭ খ্রিস্টাব্দ। যাঁদের প্রতিভার আলোকে বিজ্ঞান ও গবেষণায় ইসলামি সোনালি যুগ উদ্ভাসিত হয়েছিল, তার মধ্যে ইবনে সিনা ছিলেন অগ্রগণ্য। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তার লেখা ৪০টি কিতাব রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে খ্যাত হল ‘দ্য বুক অফ হিলিং’ (আরোগ্য পুস্তক) ও ‘দ্য ক্যানন অফ মেডিসিন’ (চিকিৎসাশাস্ত্র)।

ইবনে সিনা ধারণা করেছিলেন, কিছু রোগ নিশ্চিতভাবে মাইক্রোঅর্গানিজম দ্বারাই ছড়ায়। তাই মানুষ থেকে মানুষে রোগ সংক্রমণ প্রতিহত করতে তিনি যে ব্যবস্থা পত্রের কথা বলেছিলেন তা হচ্ছে, সংক্রমিত বা সন্দেহযুক্ত ব্যক্তিকে ৪০ দিন ধরে একেবারে আলাদা করে আইসোলেশনে অর্থাৎ, নির্জনে রাখতে হবে। আর এর দ্বারাই সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। ইবনে সিনার এই ব্যবস্থাপত্রকে আরবিতে বলা হয়, ‘আল আরবাইনিয়া’ (অর্থাৎ ৪০ দিন)।

মাল্টা' কোয়ারেন্টাইনে থাকা শহরের চিত্র  © J. Goupy/Wellcome collection

১৩৪৭ সালের অক্টোবর মাস। কৃষ্ণসাগর থেকে ১২ টি জাহাজ সিসিলির মেসিনা বন্দরে নোঙ্গর করল। বন্দরের লোকজন জাহাজিদের অভ্যর্থনা দিতে এসে সাংঘাতিক ভাবে চমকে গেলেন। সবগুলো জাহাজের বেশিরভাগ লোকজন মরে পড়ে আছে! যারা মারা যায়নি তাদের অবস্থাও গুরুতর। পুরো শরীর থেকে রক্ত ও পুঁজ গড়িয়ে পড়ছে। জানতে পেরে সিসিলি কর্তৃপক্ষ তাড়াতাড়ি জাহাজের এই বহরকে বন্দর ত্যাগ করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ততক্ষণে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। ইউরোপে ঢুকে গেল বুবোনিক প্লেগ! ‘ব্ল্যাক ডেথ’ নামে পরিচিত এই মহামারিকে মানবজাতির ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বিপর্যয় হিসেবে ধরা হয়। ১৩৪৭-১৩৫০ পর্যন্ত চলা এই ধ্বংসযজ্ঞে পুরো ইউরোপের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মারা গিয়েছিল।

সিসিলির এই ঘটনায় শিক্ষা নিল ভেনিস শহর। যদিও কিভাবে রোগ ছড়ায় সেই জ্ঞানের অভাব ছিল তাদের। তৎকালীন ভেনিস নিয়ন্ত্রিত নগরী রাগুসা (বর্তমানে ক্রোয়েশিয়ায়) ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দর।

কোনোভাবে প্লেগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে ১৩৭৭ সালে শহরের গ্রেট কাউন্সিল একটি আইন জারি করেন। আইনটিকে বলা হয়েছিল, ত্রেনটিনো (trentino) বা ৩০ দিনের আইসোলেশন পিরিয়ড।

এই আইনটিতে ৪ টি আদেশ দেয়া হয় -

১. প্লেগ আক্রান্ত এলাকা থেকে আসা কোনো জাহাজ রাগুসা বন্দরে ভিড়তে পারবে না। এর আগে থাকতে হবে ১ মাসের আইসোলেশনে।
২. রাগুসা শহর থেকে কেউ জাহাজের ভেতরে যেতে পারবেনা। এরপরেও কেউ গেলে তাকেও শাস্তি স্বরূপ ১ মাস জাহাজে থাকতে হবে।
৩. কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া কেউ জাহাজে খাবার নিয়ে যেতে পারবেনা। গেলে আগের মতোই শাস্তি।
৪. উপরোক্ত আইন কেউ না মানলে তাকেও ১ মাসের আইসোলেশনে থাকতে হবে এবং জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।

মা ও শিশু জেটিতে দাঁড়িয়ে দেখছেন কোয়ারেন্টিনে থাকা জাহাজ  © Francesco Gioli 1897/ Getty Images

বন্দরে ভিড়তে না দেয়ার এই আইনটি টিকে যায়। পরবর্তী ৮০ বছরের মধ্যে ইতালির অন্যান্য কয়েকটি শহর যেমন- ভেনিস, পিসা, জেনোয়া প্রভৃতিতেও trentino প্রয়োগ করা হতে থাকে। জীবাণুবাহিত রোগ সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলেও প্লেগের ভয়াবহতা শহরগুলোকে কঠিন পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে।

তবে এই সময়ের মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়। ভেনিসের ব্যবসায়ীরা রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধে ইবনে সিনার উদ্ভাবিত সংক্রমিত ব্যক্তিকে ৪০ দিন ধরে আইসোলেশনে রাখার সফল পদ্ধতির কথা শুনেছিলেন। তারা অর্জিত এই জ্ঞানকে বর্তমানের ইতালি ভূখণ্ডে নিয়ে যান। তারা আরবি থেকে অনুবাদ করে ইতালিতে এই পদ্ধতিটির নামকরণ করেন ‘কোয়ারানটেনা’ (quarantena বা quarantino) (ইতালি ভাষায় ৪০ দিন)।

ইবনে সিনার ধারণা অনুযায়ী পরে ৩০ দিন থেকে বাড়িয়ে আইসোলেশন পিরিয়ডের মেয়াদ করা হয় ৪০ দিন। এর সাথে আইনটির নাম trentino থেকে পরিবর্তন করে quarantino বা quarantena (কোয়ারানটেনা) রাখা হয়। এ শব্দটি আসে ইটালিয়ান quaranta থেকে, যার অর্থ চল্লিশ। তবে পরে এর প্রচলিত অর্থ হয়- সঙ্গরোধ বা ব্যক্তিকে পৃথক করা। আর এ থেকেই ইংরেজি ‘কোয়ারেন্টাইন’ (quarantine) শব্দটির উদ্ভব।

আধুনিক পৃথিবীতে এই যে প্রণালীটি বৈশ্বিক – মহামারী রুখতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার শিকড় রয়েছে ইসলামি দুনিয়ায়।

সূত্র : টিডিএন বাংলা, রোয়ার।

Monday, April 12, 2021

করোনার থাবা এবার ক্যাটরিনার দেহে

করোনার থাবা এবার ক্যাটরিনার দেহে

 


অতিমারী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) এবার আক্রান্ত হয়েছেন অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফ। ক্যাটরিনা নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে একথা ভক্তদের সঙ্গে শেয়ার করে নিয়েছেন।

ক্যাট লিখেছেন, আমি করোনা পজিটিভ। দ্রুত নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছি এবং আপাতত কিছুদিন হোম কোয়ারেন্টাইনেই থাকব। চিকিৎসকের দেয়া সমস্ত গাইডলাইন এবং প্রোটোকল অনুসরণ করছি।

একই সঙ্গে যে সব ব্যক্তিরা তার সঙ্গে ছিলেন তাদের সবাইকে করোনা পরীক্ষা করাতেও অনুরোধ করেছেন বলি স্টার। পাশাপাশি তিনি লেখেন, আপনাদের সবার ভালোবাসা ও সহায়তার জন্য ধন্যবাদ। দয়া করে সকলে নিরাপদে থাকুন এবং নিজের যত্ন নিন।
গত সোমবার অভিনেতা ভিকি কৌশল ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন তার করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা। বলিউডের গুঞ্জন, ভিকি এবং ক্যাটরিনার সম্পর্ক নাকি নিছক বন্ধুত্ব অবধিই নয়। তার থেকেও বেশি কিছু। এ বিষয়ে যদিও কখনও মুখ খোলেননি তারা।

করোনা দাপট বৃদ্ধি পাওয়ায় ফের পিছিয়ে গিয়েছে অক্ষয় কুমার এবং ক্যাটরিনা অভিনীত ‘সূর্যবংশী’র মুক্তির দিন। গত সোমবার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে করোনা আক্রান্ত অক্ষয়কে। এ বার ছবির নায়িকারও আগামী কয়েক দিন কাটবে চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে। ​অভিনেত্রীদের মধ্যে কোভিড পজিটিভ হয়েছেন ভূমি পেডনেকার, আলিয়া ভাটের মতো সুপারস্টারেরা। ক্রমেই যেন করোনা গ্রাস করছে বলিউডকে।

উর্বশীর মুখে হীরার মাস্ক, ভিডিও ভাইরাল

উর্বশীর মুখে হীরার মাস্ক, ভিডিও ভাইরাল

 


করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে মুখে মাস্ক পরার বিকল্প নাই। বিশ্ব জুড়ে মাস্ক পরা করা হয়েছে বাধ্যতামূলক। তাই তো মাস্কেও স্টাইল খুঁজে নিয়েছেন সৌখিন মানুষরা। তবে এক্ষেত্রে মনে হয় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন তারকারা।

তারকা মানেই সাধারণ মানুষের চেয়ে আলাদা জীবনযাপন। তাই তো তাদের মাস্কের ক্ষেত্রেও দেখা যাচ্ছে ভিন্নতা। এই তো কদিন আগে ৩০ হাজার টাকার বেশি দামের মাস্ক প্রকাশ্যে এনে সবাইকে চমকে দিয়েছিলেন কারিনা কাপুর। এবার হীরার মাস্ক পরে আলোচনায় এসছেন বলিউড অভিনেত্রী উর্বশী রাওতেলা। সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করে এমনটা জানান তিনি। যা রীতিমতো ভাইরাল।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মাস্কের মাঝের জায়গটা কাঁচ দিয়ে ঢাকা। বাকি অংশ পুরোটা হীরা দিয়ে নকশা করা। যা জ্বলজ্বল করছে। ভিডিওর ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘পুরো মুখ ঢাকতে হীরার মাস্ক। অনেক ভারি লাগছে। কিন্তু দয়া করে কেউ দোষ দেবেন না।’
এদিকে সবাই যে তার এই কাণ্ডে প্রশংসা করেছেন তাও কিন্তু নয়, অনেকেই তুমুল সমালোচনাও করেছেন। কেউ কেউ আবার ঠাট্টা বিদ্রুপ ও করেছেন। তবে এইসব গায়ে লাগান নি উর্বশী। কারণ এই মাস্ক পড়ার মূল উদ্দেশ্য হলো একটি ডায়মন্ড কোম্পানির বিজ্ঞাপনের কাজ করা।

২০১৩ সাথে সানি দেওলের ‘দ্যা সিং গ্রেট’ সিনেমার মধ্য দিয়ে বলিউড এ অভিষেক হয় এই অভিনেত্রীর। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ সক্রিয় উর্বশী।

মুকুট ছিনিয়ে নিয়ে গ্রেফতার মিস ওয়ার্ল্ড শ্রীলংকা

মুকুট ছিনিয়ে নিয়ে গ্রেফতার মিস ওয়ার্ল্ড শ্রীলংকা

 


মুকুট ছিনিয়ে নেয়াসহ পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে অপরাধ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করার দায়ে দুই আসর আগের ‘মিস শ্রীলংকা’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। শ্রীলংকার সবচেয়ে বড় সুন্দরী প্রতিযোগিতার পুরস্কার মঞ্চে ২০১৯ সালের বিজয়ী হন তিনি।

জানা যায়, এ বছরের ‘মিস শ্রীলংকা’ খেতাব অর্জন করা বিউটি কুইন পুষ্পিকা ডি সিলভার সঙ্গে অসদাচরণ করাও তার গ্রেফতারের কারণ। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) তাকে গ্রেফতার করে দেশটির পুলিশ।

খবরে ঘটনার উল্লেখ করে বলা হয়, ক্যারোলিন জুরি এবং ঘটনায় জড়িত থাকা আরেক মডেল চোলা পদ্মেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রোববার পুরস্কার মঞ্চে ভুক্তভোগীকে আঘাত এবং অপরাধমূলক আচরণের অভিযোগ রয়েছে। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় সময় রবিবার রাতে আয়োজন হয় মিসেস শ্রীলংকা ২০২০-এর ফাইনাল। দেশসেরা সুন্দরীদের মধ্যে থেকে বাছাই হয়ে ফাইনালে আসেন তিন প্রতিযোগী। এরপর সেরাদের সেরা ঘোষিত হন পুষ্পিকা ডি সিলভা। তাকে সেরা সুন্দরীর মুকুট পরিয়ে দেন আয়োজকরা।
বিপত্তির শুরু হয় এরপরই। গতবারের চ্যাম্পিয়ন মিসেস শ্রীলংকা ২০১৯, ক্যারোলিন জুরি এ সময় মঞ্চে উপস্থিত হয়ে কেড়ে নেন পুষ্পিকার মুকুট।
করোনায় মারা গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী মিতা হক

করোনায় মারা গেলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী মিতা হক

 


করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মিতা হক মারা গেছেন। রোববার সকাল ৬টায় রাজধানীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

এ তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন মিতা হকের জামাতা ও অভিনেতা মোস্তাফিজ শাহীন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ মার্চ নমুনা পরীক্ষা করলে মিতা হকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৩১ মার্চ থেকে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আজ বেলা ১১টায় তার মরদেহ ছায়ানটে নেওয়া হবে। কেরানীগঞ্জের বড় মনোহারিয়ায় তাকে দাফন করা হবে।

প্রয়াত অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী সংগীত শিল্পী মিতা হক। তিনি দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রপথিক ও রবীন্দ্র গবেষক ওয়াহিদুল হকের ভাতিজি। মিতা হক ও খালেদ খান দম্পতির কন‌্যা জয়ীতাও রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী।

মিতা হক ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রয়াত অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। তার মেয়ে জয়িতাও রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলাবাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে গান শেখা শুরু করেন।

বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী মিতা হক। ১৯৯০ সালে বিউটি কর্নার থেকে প্রকাশিত হয় মিতা হকের প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’। সংগীতায়োজনে ছিলেন সুজেয় শ্যাম।

মিতা হক এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টি রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে।

বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২০ সালে একুশে পদক পান এই বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী।

লাইফ সাপোর্টে করোনায় আক্রান্ত ফরিদ আহমেদ

লাইফ সাপোর্টে করোনায় আক্রান্ত ফরিদ আহমেদ

 


করোনায় আক্রান্ত হয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন সংগীত পরিচালক ও সুরকার ফরিদ আহমেদ। রোববার (১১ এপ্রিল) ভোর থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছেন তিনি। ফরিদ আহমেদের বড় মেয়ে দুর্দানা ফরিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘শনিবার (১০ এপ্রিল) রাতে হাসপাতাল থেকে আমাদের ফোনে জানানো হয় বাবার স্যাচুরেশন বাড়ছে না, দ্রুত ওনার লাইফ সাপোর্ট প্রয়োজন। এরপর আমাদের পরিবারের সম্মতিতে আজ (রোববার) ভোরে বাবাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে। লাইফ সাপোর্ট দেয়ার পর বাবার স্যাচুরেশন কিছুটা বেড়েছে। চিকিৎসকরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। সবার কাছে বাবার সুস্থতার জন্য দোয়া চাইছি।এর আগে গত ২০ মার্চ ফরিদ আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর ২১ ও ২৩ মার্চ তিনি টেস্ট করালে করোনা নেগেটিভ আসে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না ঘটলে তিনি পুনরায় ২৫ মার্চ টেস্ট করান এবং তখন তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।এরপর ওইদিন রাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সংগীত পরিচালক। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে তাকে ভর্তি করা হয়।

ফিরোজ সাঁইয়ের হাত ধরে পেশাদার সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু হয় অসংখ্য কালজয়ী গানের সুরকার ফরিদ আহমেদের। রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, সুবীর নন্দী, এন্ড্রু কিশোর, কুমার বিশ্বজিৎসহ অনেক গুণী শিল্পীর জন্য গান তৈরি করেছেন তিনি।ফরিদ আহমেদ আড়াই হাজারের বেশি নাটক, চার শতাধিক ধারাবাহিক এবং জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’সহ অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি ও টিভি অনুষ্ঠানের থিম সং তৈরি করেছেন। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০টি সিনেমায় কাজ করেছি তিনি।

২০১৭ সালের সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ফরিদ আহমেদ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘তুমি রবে নীরবে’ সিনেমায় সংগীত পরিচালনা করে এ পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

Monday, March 8, 2021

কফি পানে দাঁতের দাগ, ঘরোয়া চিকিৎসা

কফি পানে দাঁতের দাগ, ঘরোয়া চিকিৎসা

কফি পানে দাঁতের দাগ, ঘরোয়া চিকিৎসা

০৩ মার্চ ২০২১,
facebook sharing button
messenger sharing button
twitter sharing button
pinterest sharing button
linkedin sharing button
print sharing button

কফি পান করতে কার না ভালো লাগে? করোনাভাইরাস সংক্রমণকালীন চায়ের পাশাপাশি কফি পান করার পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের এ ব্যস্তজীবনে অনেক সময় ক্লান্তি ভর করে। কফি পান করলে শরীরের সব ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। শরীর ও মন চাঙা হয়ে ওঠে।

আমাদের দেশে যখন করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল, তখন আমার স্পষ্ট মনে আছে- একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে কফি কিনতে গিয়ে আমি তা পাইনি। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য মানুষ সব কফি কিনে ফেলেছিল। কফি আমি নিজেও খুব পছন্দ করি। তবে ক্রমাগত কফি পান করার কারণে দাঁতের এনামেলের ওপর বাদামি বর্ণের দাগ পড়ে। তখন দেখতে খুব খারাপ দেখা যায়। খারাপ লাগাটা অবশ্যই আপেক্ষিক একটি বিষয়।

করোনাভাইরাস সংক্রমণকালীন কফি পান করার কারণে ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনি চাইলে দাঁতের দাগ দূর করতে পারেন। হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড এবং বেকিং সোডার মিশ্রণের মাধ্যমে দাঁতের এনামেলের ওপর কফির দাগ উঠান সম্ভব। অক্সিডাইজার হিসেবে হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড কফির ক্ষুদ্র কণাকে অপসারণ করে। বেকিং সোডা এ কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করে থাকে। বেকিং সোডা এবং হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড মিশিয়ে পেস্টের মতো করতে হবে। এ মিশ্রিত পেস্ট দাঁতের ওপর ১০ মিনিটের জন্য প্রয়োগ করতে হবে। কোনো সমস্যা না হলে ২০ মিনিট পর্যন্ত রাখা যেতে পারে। এরপর মিশ্রিত পেস্ট অপসারণ করে রেগুলার টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত ব্রাশ করে নিতে হবে।

তবে এ নিয়ে আমাদের দেশে কোনো গবেষণা যেহেতু হয়নি, তাই এর কার্যকারিতা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্নের অবকাশ থেকে যায়। আর এ কারণেই অন্যান্য পদ্ধতি আলোচনা করা প্রয়োজন। হাইড্রোজেন-পার-অক্সাইড পানি মিশিয়ে কুলকুচি করতে পারেন প্রতিদিন অথবা কিছু দিন পর পর।

একটি বিষয়ে আলোচনা না করলেই নয়। সেটি হল, কফি পান করার সময় কিছু নিয়ম-নীতি মেনে চললে দাঁতের এনামেলের ওপর দাগ পড়বে না; আর যদি দাগ পড়েও তাহলে সেটি অনেক দাগ হবে না। অল্প অল্প করে অনেক সময় লাগিয়ে কফি পান করার পরিবর্তে এক বসায় ১০ মিনিটের মধ্যে কফি পান শেষ করুন। কিন্তু তাই বলে ১ ঘণ্টা সময় নেয়া কোনো অবস্থাতেই ঠিক হবে না। কফি পান শেষ হয়ে গেলে এক গ্লাস পানি দিয়ে মুখের অভ্যন্তরে ভালোভাবে কুলকুচি করবেন। আর আপনি যদি কোনো অনুষ্ঠানে থাকেন, তাহলে মিনারেল ওয়াটারের বোতল থেকে একটু পানি মুখে নিয়ে নাড়াচাড়া করে তা খেয়ে ফেলুন। এতে করে কফি পান করার কারণে দাঁতের এনামেলের ওপর কোনো দাগ পড়বে না। আর আপনার সামাজিকতাও কোনোভাবেই নষ্ট হবে না।

আপনি যদি আইস কফি বা কোল্ড কফি পান করতে পছন্দ করেন, তাহলে অবশ্যই একটি উন্নতমানের স্ট্র বা পাইপ দিয়ে কফি পান করলে দাঁতের এনামেলের ওপর কফির দাগের ঝুঁকি অনেক কমে যায়। লক্ষ রাখবেন, আইস কফি পান করার সময় কোনোভাবেই আইস বা বরফ খণ্ড কামড়াবেন না। যদি এ রকম করেন, তাহলে আপনার দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ধীরে ধীরে দাঁতের এনামেলে ফাটল দেখা দিতে পারে। তবে এটি একদিনে না-ও হতে পারে। সাবধান থাকাই ভালো।

হট কফি বা কোল্ড কফি পান করার পর যদি ব্রাশ করার সুবিধা থাকে অর্থাৎ আপনি যদি বাসায় বা অফিসে নিজস্ব রুমে অবস্থান করেন, তাহলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই দাঁত ব্রাশ করে নিবেন। এতে করে কফির কারণে দাঁতের এনামেলে কোনো ধরনের দাগ পড়বে না। ফল এবং শাকসবজি খাবেন। ফলের মধ্যে মাল্টা, আপেল, নাশপাতি, জামবুরা ও আমড়া খেতে পারেন।

তবে একটি কথা না বললেই নয়, তা হল- আপনার দাঁত যদি অতি সংবেদনশীল হয় অর্থাৎ দাঁত শিরশির করে, তাহলে কুলকুচি ছাড়া বাকি ঘরোয়া পদ্ধতি অর্থাৎ দাঁতে পেস্ট লাগিয়ে চেষ্টা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। সংবেদনশীল দাঁতের জন্য এনামেলের ওপর দাগ এবং সংবেদনশীলতার চিকিৎসা একসঙ্গে হয়ে যাবে। আলাদাভাবে তেমন কোনো খরচ হবে না।

তবে ঘরোয়া পদ্ধতি অবশ্যই আপনারা প্রয়োগ করতে পারেন। বিশেষ করে কুলকুচি করা, দাঁত ব্রাশ করা এবং নিয়ম-কানুন অনুসরণের মাধ্যমে অবশ্যই আপনার দাঁতের এনামেলের ওপর কফির দাগ ধীরে ধীরে চলে যাবে। এছাড়া বাজারে দাঁতের দাগ উঠানোর জন্য কিছু সলিউশন পাওয়া যায়, সেটি ব্যবহার করে দাঁতের দাগ উঠান যায়। তবে এসব ক্ষেত্রে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা অতীব জরুরি।

যারা কফি পান করেন, আমি তাদের কফি পান করতে নিষেধ করব না। এটুকু বলব, অতিরিক্ত কফি পান করবেন না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণকালীন মাশরুম কফি পান করতে পারেন। বিশ্বের নামি-দামি ব্র্যান্ডের মধ্যে গ্যানোকফি থ্রি-ইন-ওয়ান পান করলে আপনি অনেক ধরনের উপকার পাবেন। একটু সচেতন হলে আর দাঁত ও মুখের যত্ন নিলে আপনি সার্বিকভাবে অনেক ভালো থাকবেন।