করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে একুশে পদকপ্রাপ্ত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী মিতা হক মারা গেছেন। রোববার সকাল ৬টায় রাজধানীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মিতা হকের জামাতা ও অভিনেতা মোস্তাফিজ শাহীন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ মার্চ নমুনা পরীক্ষা করলে মিতা হকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর বাসায় আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৩১ মার্চ থেকে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য আজ বেলা ১১টায় তার মরদেহ ছায়ানটে নেওয়া হবে। কেরানীগঞ্জের বড় মনোহারিয়ায় তাকে দাফন করা হবে।
প্রয়াত অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী সংগীত শিল্পী মিতা হক। তিনি দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অগ্রপথিক ও রবীন্দ্র গবেষক ওয়াহিদুল হকের ভাতিজি। মিতা হক ও খালেদ খান দম্পতির কন্যা জয়ীতাও রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী।
মিতা হক ১৯৬২ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রয়াত অভিনেতা খালেদ খানের স্ত্রী। তার মেয়ে জয়িতাও রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি তবলাবাদক মোহাম্মদ হোসেন খানের কাছে গান শেখা শুরু করেন।
বাংলাদেশ বেতারের সর্বোচ্চ গ্রেডের তালিকাভুক্ত শিল্পী মিতা হক। ১৯৯০ সালে বিউটি কর্নার থেকে প্রকাশিত হয় মিতা হকের প্রথম রবীন্দ্রসংগীতের অ্যালবাম ‘আমার মন মানে না’। সংগীতায়োজনে ছিলেন সুজেয় শ্যাম।
মিতা হক এ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ২০০টি রবীন্দ্রসংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন। তার এককভাবে মুক্তি পাওয়া মোট ২৪টি অ্যালবাম আছে। এর মধ্যে ১৪টি ভারত থেকে ও ১০টি বাংলাদেশ থেকে।
বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক ২০১৬ সালে শিল্পকলা পদক লাভ করেন। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২০২০ সালে একুশে পদক পান এই বরেণ্য রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী।
0 coment rios: