লাইফ সাপোর্টে করোনায় আক্রান্ত ফরিদ আহমেদ

 


করোনায় আক্রান্ত হয়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন সংগীত পরিচালক ও সুরকার ফরিদ আহমেদ। রোববার (১১ এপ্রিল) ভোর থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে কৃত্রিম উপায়ে শ্বাসপ্রশ্বাস নিচ্ছেন তিনি। ফরিদ আহমেদের বড় মেয়ে দুর্দানা ফরিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘শনিবার (১০ এপ্রিল) রাতে হাসপাতাল থেকে আমাদের ফোনে জানানো হয় বাবার স্যাচুরেশন বাড়ছে না, দ্রুত ওনার লাইফ সাপোর্ট প্রয়োজন। এরপর আমাদের পরিবারের সম্মতিতে আজ (রোববার) ভোরে বাবাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে। লাইফ সাপোর্ট দেয়ার পর বাবার স্যাচুরেশন কিছুটা বেড়েছে। চিকিৎসকরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। সবার কাছে বাবার সুস্থতার জন্য দোয়া চাইছি।এর আগে গত ২০ মার্চ ফরিদ আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর ২১ ও ২৩ মার্চ তিনি টেস্ট করালে করোনা নেগেটিভ আসে। কিন্তু শারীরিক অবস্থার উন্নতি না ঘটলে তিনি পুনরায় ২৫ মার্চ টেস্ট করান এবং তখন তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।এরপর ওইদিন রাতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি হন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই সংগীত পরিচালক। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে তাকে ভর্তি করা হয়।

ফিরোজ সাঁইয়ের হাত ধরে পেশাদার সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু হয় অসংখ্য কালজয়ী গানের সুরকার ফরিদ আহমেদের। রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমীন, সুবীর নন্দী, এন্ড্রু কিশোর, কুমার বিশ্বজিৎসহ অনেক গুণী শিল্পীর জন্য গান তৈরি করেছেন তিনি।ফরিদ আহমেদ আড়াই হাজারের বেশি নাটক, চার শতাধিক ধারাবাহিক এবং জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’সহ অসংখ্য সরকারি-বেসরকারি ও টিভি অনুষ্ঠানের থিম সং তৈরি করেছেন। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে প্রায় ৩০টি সিনেমায় কাজ করেছি তিনি।

২০১৭ সালের সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন ফরিদ আহমেদ। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে নির্মিত ‘তুমি রবে নীরবে’ সিনেমায় সংগীত পরিচালনা করে এ পুরস্কার অর্জন করেন তিনি।

আরও নতুন পোষ্ট পরবর্তী পোষ্ট

Related Posts

Facebook